এই মুহূর্তে




মাছের ভেড়ি নিয়েও আসছে নয়া প্রকল্প, বসিরহাটে ইঙ্গিত দিলেন মমতা

Courtesy - Facebook and Google




নিজস্ব প্রতিনিধি: যে কোনও নির্বাচনের সময় লাগু থাকে আদর্শ আচরণবিধি। সেই সময়ে নতুন কোনও সরকারি প্রকল্প চালু করা যায় না। নতুন কোনও প্রকল্প ঘোষণাও করা যায় না। সেই কথাই মাথায় রেখে মঙ্গলবার বসিরহাটের(Basirhat) মাটি থেকে নয়া প্রকল্পের ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। তাঁর সরকারই বাংলার মানুষের জন্য অর্ধ শতকেরও বেশি আর্থসামাজিক প্রকল্প চালু করেছেন ও রেখেছেন। এবার ভোট মিটলেই সেই তালিকায় যুক্ত হতে চলেছে নয়া এক প্রকল্প। আর সেই প্রকল্প চালু করা হবে বাংলার বুকে নানা গ্রামীণ এলাকায় যারা মাছের ভেড়িতে মাছ চাষ করেন তাঁদের জন্য। বাংলার মৎস্যজীবীদের(Fisherman) জন্য ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার ‘মৎস্যবন্ধু’ ও ‘সমুদ্রসাথী’ প্রকল্প চালু করেছে। এবার সেখানে আরও এক নয়া প্রকল্প জুড়ে যেতে চলেছে।

এদিন অর্থাৎ মঙ্গলবার উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী হাজি নুরুল ইসলামের সমর্থনে সংগ্রামপুরে জনসভা ছিল মমতার। সেই সভা থেকেই তিনি বলেন, ‘ আপনাদের এখানে কত মাছের ভেড়ি(Fishery) আছে। অনেকে দখল করে। আবার ছোট ছোট ভেড়ি আছে মানুষ করে খায়। ভেড়ি নিয়ে এতদিন পর্যন্ত কেউ কোনও পলিসি করেনি। আমাদের সরকার একটা পলিসি তৈরি করছে যাতে যার ভেড়ি সে চাষ করুক। না হলে স্বনির্ভর গোষ্ঠী করবে বা দল বেঁধে করবে। তবে সরকারের রেকর্ডে নাম রাখতে হবে। কারও ভেড়ি জোর করে কেড়ে নেওয়া যাবে না। সরকারকেও একটা রেভেনিউ দিতে হবে। তাহলে তার জমিটাও প্রটেক্ট থাকবে।’ ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, মমতা আটঘাঁট বেঁধে এদিন এই কথা বলেছেন। কেননা সন্দেশখালির(Sandeshkhali) গণবিক্ষোভের মূলে রয়েছে শাহজাহান বাহিনীর ভেড়ি দখলের রাজনীতি যাকে বিজেপি কদর্য রূপ দিয়েছে। একই সঙ্গে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার একটা বড় অংশেই এখন ভেড়ি ঘিরে মাছের চাষ বাড়ছে। সেই পূর্ব মেদিনীপুরে ভোট রয়েছে আগামী ২৫ তারিখ।

কার্যত গোটা বসিরহাট মহকুমার অর্থনীতি, রাজনীতি, সামাজিক অবস্থান সবই মাছের ভেড়িকে ঘিরে। সেখানে প্রতি বছর কয়েক হাজার কোটি টাকার লেনদেন হয়। অথচ সেখান থেকে এক পয়সাও রাজস্ব পায় না রাজ্য সরকার। অথচ থেকে থেকে প্রায়ই শোনা যায় এই ভেড়ি দখলের রাজনীতি, ভেড়ি ভাগের রাজনীতি, মাছ বিক্রির টাকা ভাগের রাজনীতি নিয়ে বিবাদ বেঁধেছে। আর তার জেরে খুনোখুনির ঘটনা পর্যন্ত ঘটে। মমতার ঘোষিত নীতি বাস্তবায়িত হলে সেই সমস্যার অনেকটাই সমাধান হবে। মানুষের জীবনহানী রুখবে। রাজ্য সরকারের রাজস্ব আদায় হবে। বহু মানুষের কর্মস্থান হবে। এলাকায় শান্তি থাকবে, উন্নয়ন হবে। তবে মমতা এদিন এই প্রকল্প নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি আদর্শ আচরণ বিধি লাগু থাকার জন্য। 




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

চন্দননগরে ৬৯ টি জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটি নিরঞ্জন শোভাযাত্রায় আলোর খেলা দেখাল

উত্তরপ্রদেশ ও বিহার থেকে মাফিয়া ও গুন্ডারা পশ্চিমবঙ্গে এসে ঘাঁটি গেড়েছে: দিলীপ ঘোষ

চিকি‍ৎসার জন্য ৩ হাজার টাকা তোলা দাবি নার্সের! প্রসূতিকে মারধরে অভিযুক্ত চিকি‍ৎসক

স্বরূপনগরের অপহৃত ছাত্রীকে টানা ৯দিন পর মুর্শিদাবাদ থেকে উদ্ধার করল পুলিশ

কাঁথিতে আয়ুর্বেদ হসপিটালের নিয়মান বিল্ডিং – এর ৩ তলা থেকে প্রথম বর্ষের ছাত্রীর ঝাঁপ

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর