এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

শতাব্দী পেরিয়েও কোন্নগরে সদা জাগ্রত শকুন্তলা রক্ষাকালী

নিজস্ব প্রতিনিধি: হুগলি জেলার কোন্নগর শকুন্তলা কালী বাড়ী মন্দিরের পুজো এবার ১৩২ বছরে পড়ল। করোনার জেরে গত বছর নমো নমো করে ঘট পুজো হয়েছিল। ফলে মন খারাপ ছিল এলাকাবাসীর। এবার অবশ্য করোনাবিধি মেনে পুজো হবে। এই পুজোর মূল আকর্ষণ হল শুরু হয় সন্ধ্যা রাতে ভোর হওয়ার আগেই মাকে নিরঞ্জন দেওয়া হয়। পাশাপাশি মা কালীকে গা ভর্তি সোনা-রুপোর অলঙ্কার দিয়ে সাজানো হয় কালীপুজোর দিন। এই মন্দির কোন্নগরবাসীর কাছে খুবই গর্বের ও আনন্দের একটি বিষয়। কেন এই মন্দিরের নামকরণ সেটা নিয়ে এক মজার গল্প রয়েছে। প্রাচীন কালে এই মন্দির চত্বরে এক বিশাল গাছ ছিল। ওই গাছে প্রচুর শকুন এসে বসতো, সেই থেকেই এই মন্দিরের নাম শকুন্তলা কালী বাড়ি হয়ে যায়।

নিতান্ত অনাড়ম্বর একটি মন্দির, সাদামাটা গঠনশৈলী। নাটমন্দিরটি বিরাট বড়, তার মাঝখানে একটি হাঁড়িকাঠ। এখানেই হয় বলি। মূল মন্দিরের গর্ভগৃহে একটি শ্বেত পাথরের বেদি। তবে এই বেদির নিচে তিনকোনা লাল রঙের আরেকটি বেদি আছে। জানা যায়, একসময় এই মন্দিরে ডাকাতদের আনাগোনা ছিল। তাঁরাই মন্দিরে পুজো দিয়ে ডাকাতি করতে যেত। আর ডাকাতির পর ফিরে এসে পুজো দিত। তবে এই বিষয়ে কোনও তথ্য প্রমান নেই। যেমন জানা যায় না কে বা কারা এই মন্দির নির্মান করিয়েছেলেন। সে যাই হোক, শকুন্তলা কালী মন্দিরের পুজোর রীতি ও নিয়ম কিন্তু বেশ প্রাচীন। শুধু দীপান্বিতা কালীপুজোর দিন এই মন্দিরে প্রতিমার প্রবেশ ঘটে। একরাতেই বিসর্জন। বাকি সারা বছর শুধু বেদিতেই পুজো হয়। সর্বশক্তিমান মহামায়াকে একই সঙ্গে সাকার ও নিরাকারে পুজো করার এই রীতি বাংলার আর কোথাও দেখা যায় কিনা জানা নেই।

কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথির সন্ধ্যের পর দেবীমূর্তি কাঁধে করে নিয়ে আসা হয় মন্দিরে। সন্ধ্যে সাড়ে ছটা থেকে সাড়ে সাতটার মধ্যে মন্দিরে প্রবেশ করে প্রতিমা। এরপর মূল্যবান সোনা ও রুপোর গয়নায় সাজানো হয় মা রক্ষাকালীকে। শুরু হয় পুজো, চলে সারা রাত। এই সময়ের মধ্যে প্রতি বছর হাজার থেকে দেড় হাজার পাঠা বা ছাগল বলি হয়, রক্ত গঙ্গা বয়ে যায় এই স্থানে। অনেকেই মানত করেন বিভিন্ন মনস্কামনা করে। পূরণ হলে তাঁরাই পাঁঠাবলি দেন। জানা যায় একসময় মানেকা গান্ধী উদ্যোগ নিয়েছিলেন এই বলি বন্ধের, কিন্তু তিনি সফল হননি। পুজোর পর ভোরের আলো ফোটার আগেই প্রতিমা বিসর্জন হয়ে যায় শকুন্তলা কালী মন্দিরের।

পুজোর এক সপ্তাহ আগে থেকেই এই এলাকায় সাজ সাজ রব পড়ে যায়। মায়ের বেদিতে জল ঢালতে হাজার হাজার পূণ্যার্থী ভিড় করতে থাকেন মন্দির চত্বরে। পুজোর আগে থেকেই ওই এলাকায় বসে যায় মেলা। আর কালীপুজোর দিন রাতভর ভিড় থাকে চোখে পড়ার মতো। এবার অবশ্য ভিড় নিয়ন্ত্রন করবে পুলিশ-প্রশাসন। তবে শকুন্তলা কালী মন্দিরের পুজো বাংলার কালীপুজোগুলির মধ্যে অন্যতম।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

বুথের ভেতরে ঘুটঘুটে অন্ধকার! জনতাদের বুঝেশুনে ভোট দেওয়ার অনুরোধ রচনার

লকেটকে ‘ডাকাত’, অসীমাকে ‘চোর’ সম্মোধন, বচসায় তৃণমূল-বিজেপি

আবারও এক কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানের বিরুদ্ধে উঠল শ্লীলতাহানির অভিযোগ

ভোট পঞ্চমীতে বাংলার কোটি ভোটার বুথের লাইনে

মিতালীকে সামনে রেখেই আরামবাগ জয়ের ছক তৃণমূলের

লকেট রচনা দ্বৈরথের আড়ালে লুকিয়ে কৃষি-শিল্পের বিবাদ, সাক্ষী সিঙ্গুর

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর