এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

লড়াই ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে, ৪ জেলার ৫০টি পুরসভাকে কড়া নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিনিধি: লড়াই এবার ডেঙ্গুর(Dengue) বিরুদ্ধে। সময় থাকতে থাকতেই ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে লড়াই করতে মাঠে নামছে নবান্ন(Nabanna)। সেই সূত্রেই State Urban Development Agency বা SUDA রাজ্যের ৪টি জেলার মোট ৫০টি পুরসভাকে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ডেঙ্গু প্রতিরোধের ‘মাইক্রোপ্ল্যান’(Micro Plan) জমা দিতে বলেছে। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) নির্দেশেই রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের তরফে কলকাতা সংলগ্ন চার জেলার ৫০টি পুরসভাকে এই নির্দেশ দিয়েছে SUDA। গত বছর রাজ্যে ডেঙ্গু সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত লক্ষ্য করা গিয়েছিল। কোথাও কোথাও বহু চেষ্টায়ও রাশ টানা যায়নি সংক্রমণে। এমনকি জীবনহানীর ঘটনাও ঠেকানো যায়নি। এবার তাই অনেক আগে থেকেই কোমর বেঁধে নেমেছে রাজ্য সরকার। চার জেলার ৫০টি পুরসভাকে ‘মাইক্রোপ্ল্যান’র মাধ্যমে মূলত জানাতে হবে তাঁদের এলাকায় মশার বংশবিস্তার ঠেকাতে কী কী ব্যবস্থা নিয়েছেন তাঁরা। জানাতে হবে শহরে ডেঙ্গু ঠেকাতে নজরদারি কেমনভাবে চালাচ্ছন তাঁরা।

আরও পড়ুন এবার রেশন দোকান পরিদর্শনেও কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল

কোনও এলাকায় ডেঙ্গুর সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত হলে নাগরিকদের নানা ধরনের অভিযোগ সামনে আসে। নিয়মিত আবর্জনা সাফাই না হওয়া, ফাঁকা জমিতে আগাছার জঙ্গল, অপরিষ্কার নর্দমার মতো ভুরিভুরি অভিযোগে বিব্রত হয় পুরসভাগুলি। এই প্রেক্ষিতে সুডার মাধ্যমে রাজ্যের পুরসভাগুলিকে সতর্ক করে দেওয়ার পথে হাঁটা দিয়েছে নবান্ন। গোটা রাজ্যেই ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে লড়াই চললেও প্রথম পর্যায়ে কলকাতা সংলগ্ন উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলির ৫০টি পুরসভাকে বেছে নেওয়া হয়েছে। তার কারণ, গত বছর মোট ডেঙ্গু আক্রান্তের প্রায় ৭৪ শতাংশই এসব এলাকার ঘটনা। এই পুরসভাগুলিকে সুডার তরফে যে চিঠি পাঠানো হয়েছে তাতে বলে দেওয়া হয়েছে, কোন কোন বিষয় রিপোর্টে নথিভুক্ত করতে হবে। যেমন, মশার বংশবিস্তারের অনুকূল পরিবেশ রয়েছে বা মশাবাহিত রোগ ছড়ানোর কারণ হতে পারে, এরকম জায়গাগুলিকে প্রথমে চিহ্নিত করবে পুরসভা। এরপর জায়গাগুলি সরেজমিনে পরিদর্শন করে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়, তার ‘মাইক্রোপ্ল্যান’ তৈরি করবে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কমিটি। সেই সঙ্গে প্রতিটি ওয়ার্ড কমিটিকে পরিস্থিতির ওপর নজর রাখতে হবে। এলাকার নালা-নর্দমা, ফাঁকা জমিতে মশার লার্ভা বাড়ছে কি না, সেদিকে বাড়তি নজর দিতে হবে।

আরও পড়ুন বিচারপতি মান্থার ঘটনায় শহরে বার কাউন্সিলের প্রতিনিধিদল

পুরসভার পরিচালকরা ওই পরিকল্পনায় অনুমোদন দিলে তা চলে যাবে মহকুমা স্তরে। সার্বিক পরিকল্পনা নিয়ে রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের সঙ্গে বৈঠক করবে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন। তারপর ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পুরসভাগুলি যাবতীয় পরিকল্পনা রিপোর্ট আকারে জমা করবে সুডায়। এই প্রক্রিয়ার বেশ কিছু কাজ ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। জেলা ও রাজ্যস্তরের একাধিক বৈঠকও হয়ে গিয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। শুধু তাই নয়, গত ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকেই পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মী থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ময়দানে নামাতে তৎপর হয়েছে রাজ্য সরকার। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রশাসনের সমস্ত স্তরে সুসংহত পরিকল্পনা করে ডেঙ্গু মোকাবিলায় এগতে চাইছে রাজ্য সরকার। অনেক সময় দেখা যায়, স্রেফ প্রশাসনিক নজরদারির অভাবে এলাকায় ডেঙ্গু সংক্রমণ ঘটছে। সেই গাফিলতির জায়গা যাতে ২০২৩-এ না হয়, তার জন্য সময় থাকতে থাকতেই পদক্ষেপ করা হচ্ছে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

মহিলা তৃণমূলকর্মীকে গণধর্ষণ, গ্রেফতার ৩ বিজেপি কর্মী

ডায়মন্ড হারবার ও আনন্দপুর থানার ওসিকে সরিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন

উত্তরপাড়ার মাখলাতে দৃষ্টিহীনদের মাধ্যমিক পরীক্ষায় নজর কাড়া ফলাফল

রাস্তা পার হতে গিয়ে প্রখর রৌদ্রে মাথা ঘুরে লরির তলায় পড়ে মৃত্যু বৃদ্ধের

রাজভবনের অন্দরে ওঠা অভিযোগ প্রসঙ্গে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সরব সায়নী ও লাভলী মৈত্র

কৃত্রিম বৃষ্টি রামনগরের স্কুলে! গরম থেকে মুক্তি পেতে আনন্দ নিকেতন স্কুলে অবাক করা কান্ড

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর