নিজস্ব প্রতিনিধি: বড়সড় ধাক্কা খেল ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর ক্লাব আল নাসর। চলতি মরসুমে সৌদির ক্লাবটির নতুন করে খেলোয়াড় কেনার ওপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করল বিশ্ব ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা ফিফা। বুধবার ফিফার পক্ষ থেকে ওই নিষেধাজ্ঞার কথা জানানো হয়েছে।
কিন্তু কেন খেলোয়াড় কেনার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়ল সৌদির ক্লাবটি? ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘দ্য মিরর’ জানিয়েছে, পাঁচ বছর আগে ২০১৮ সালে ইংলিশ ক্লাব লেস্টার সিটি থেকে স্ট্রাইকার আহমেদ মুসাকে কিনেছিল আল নাসর। তাকে ২০২০ সালে ছেড়েও দেয় সৌদি ক্লাবটি। লেস্টার সিটি থেকে মুসাকে নিয়ে আসার জন্য ৩ লাখ ৯০ হাজার পাউন্ড দেওয়ার কথা ছিল সৌদির ক্লাবটির।
পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলেও ওই টাকা পরিশোধ করেনি আল নাসর। ক্লাবটিকে ট্রান্সফার অর্থ দেওয়ার জন্য সতর্ক করেছিল ফিফা। ২০২১ সালে বিশ্ব নিয়ামক সংস্থার পক্ষ থেকে সতর্ক করে বলা হয়েছিল, চুক্তির শর্ত মেনে অর্থ পরিশোধ না করলে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে। শেষ পর্যন্ত সেই নিষেধাজ্ঞা নামিয়ে আনা হলো। এই নিষেধাজ্ঞার ফলে চরম সমস্যায় পড়ল সৌদির ক্লাবটি। কেননা, বেশ ক’জন ইউরোপের বড় ফুটবলার আনার পরিকল্পনা ছিল আল নাসরের কর্তাদের। তার মধ্যে ইন্টার মিলান থেকে ক্রোয়েশিয়ার মার্সেলো ব্রোজোভিককে কিনতে পেরেছে তারা। বাকিদের সঙ্গে কথাবার্তা চলছিল। ফিফার নিষেধাজ্ঞার ফলে সেই প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে গেল। ফলে চরম সমস্যায় পড়ে গেল ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর ক্লাব। নিষেধাজ্ঞার পরে সুর নরম করে আল নাসরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হলে লেস্টার সিটির পাওনা অর্থ মিটিয়ে দেওয়া হবে।