আন্তর্জাতিক ডেস্ক: প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের চতুর্থ ঢেউয়ের তাণ্ডবে যখন কার্যত ‘থরহরিকম্প’ ইউরোপের অধিকাংশ দেশ, ঠিক তখনই বিদেশি নাগরিকদের জন্যজারি করা নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে ভিন দেশি পড়ুয়া ও দক্ষ শ্রমিকরা অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশ করতে পারবেন বলে সোমবার জানিয়েছেন তিনি। তবে সেই প্রবেশের ক্ষেত্রে বিশেষ শর্ত রাখা হয়েছে। যারা করোনা টিকার দুই ডোজ নিয়েছেন, তাঁদেরই ঢুকতে দেওয়া হবে।
করোনার প্রথম ঢেউয়ের সময়েই সংক্রমণের করাল থাবা থেকে রক্ষা পেতে ২০২০ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় অস্ট্রেলিয়া সরকার। তার পর থেকে শুধু নাগরিক ও স্থায়ী বাসিন্দাদেরই দেশে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। ভিসাধারী বিদেশিদের দেশটিতে ঢোকার অনুমতি মিলছিল না। ফলে চরম সমস্যায় পড়ে যান বিদেশি শিক্ষার্থী ও দক্ষ শ্রমিকদের বড় অংশ। পাশাপাশি ধাক্কা খায় অস্ট্রেলিয়ার অর্থনীতিও। কেননা দেশটির অর্থনীতির অধিকাংশ নির্ভর করে বৈদেশিক শ্রমিক ও শিক্ষার্থীদের ওপর। ২০১৯ সালের হিসেব অনুযায়ী, শুধু বিদেশি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা বাবদ অস্ট্রেলিয়ার আয় হয়েছিল ৪০ বিলিয়ন অর্থাৎ ৪ হাজার কোটি অস্ট্রেলিয়ান ডলার।
মারণ ভাইরাসের মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই করোনা টিকাকরণের উপরে বিশেষ জোর দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া সরকার। এখনও পর্যন্ত ১৬ বছরের ঊর্ধ্বে থাকা ৮৫ শতাংশকেই টিকাকরণের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। এদিন বিদেশি ভিসাধারীদের জন্য দেশের সীমান্ত খুলে দেওয়ার কথা ঘোষণা করে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেন, ‘দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বিদেশি যে সব পড়ুয়া ও দক্ষ শ্রমিকের অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশের দীর্ঘমেয়াদী ভিসা রয়েছে, তারা করোনার নেগেটিভ শংসাপত্র দেখালেই দেশে ঢুকতে পারবেন।’
