নিজস্ব প্রতিনিধি: রবি সকাল থেকেই রাজ্যে নতুন করে বড় ধরনের হানাদারি শুরু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা CBI। এদিন সকালেই রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী তথা কলকাতা পুরনিগমের মেয়র ফিরহাদ হাকিমের(Firhad Hakim) বাড়িতে হানা দিয়েছেন CBI’র আধিকারিকেরা। একইসঙ্গে তাঁর বাড়ি কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। ফিরহাদের বাড়িতে CBI’র এই হানাদারি নিয়ে সবার আগে সরব হয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। তাঁরা সাফ জানিয়ে দেন, ‘উনি আমাদের ভগবান। এখনই ববিদার বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে যাক সিবিআই কর্তারা।’ তবে তা হয়নি। এবার সেই হানাদারি নিয়ে ফেসবুকে সরব হলেন ফিরহাদ কন্যা প্রিয়দর্শিনী হাকিম(Priyadarshini Hakim), যিনি তৃণমূলের(TMC) সঙ্গেও জড়িত।
এদিন ফিরহাদ কন্যা তাঁর ফেসবুক পোস্টে CBI’র এই হানাদারি নিয়ে তাঁদের দিকেই কার্যত প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন। ফিরহাদের বাড়িতে CBI’র হানাদারির খবর পেয়েই সেখানে চলে আসেন প্রিয়দর্শিনী। কিন্তু সেই সময় তাঁকে বাড়িতে ঢুকতেই দেওয়া হয়নি। পরে অনেক অনুনয় বিনয়ের পর বাড়ির ভিতর ঢুকতে দেওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু সূত্রের খবর, বাড়িতে ঢুকতে দিলেও প্রিয়দর্শিনীকে তাঁর বাবার সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। তার পরে পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের ক্ষোভ উগরে দেন ফিরহাদ কন্যা। লেখেন, ‘আমরা আগেও বলেছি, এখনও বলছি। আমরা কোনও অভিযানে ভীত নই। আমাদের কোনও কিছু লুকোনোর নেই। কিন্তু, এই অন্যায্য সামাজিক সমালোচনা, কাটাছেঁড়ার কী হবে? এই অভিযানের ফলে যে মিডিয়া ট্রায়াল শুরু হবে তার কী হবে? ভয় সেটাই। আমাদের সামাজিক সম্মান ও পদের যে হানি হল তার কী হবে? এই অভিযানের ফলে আমার পরিবার যে হেনস্থার মুখোমুখি হল তার দায় কে নেবে? এই তল্লাশিতে যদিও কোনও দুর্নীতির প্রমাণ না মেলে তাহলে এই হয়রানির দায় কে নেবে?’
বস্তুত এদিন সকাল থেকেই ফিরহাদ অনুগামীরা যেমন তাঁর বাড়ির সামনে ভিড় জমাতে শুরু করেন তেমনি এলাকার বাসিন্দারাও ভিড় করেন। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের বিরুদ্ধে তাঁরা কার্যত নিজের ক্ষোভ উগরে দেন। সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের হাতের কাছে পেয়ে তাঁরা জানান, ‘উনি আমাদের ভগবান। এখনই ববিদার বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে যাক সিবিআই কর্তারা। কেন শুভেন্দু অধিকারীর বাড়িতে যাচ্ছে না কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা? দিল্লিতে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে ধরনা দিয়েছে তৃণমূল। তার বদলা নিতেই সিবিআইয়ের এই তৎপরতা। পুরোটাই রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। ববিদা আমাদের ভগবান। এলাকার জন্য উনি প্রাণ দিতে পারেন। ওঁকে অযথা হেনস্তা করা হচ্ছে।’