নিজস্ব প্রতিনিধি: ইজরায়েল-হামাস সংঘর্ষে গোটা বিশ্ব জবুথবু। ফিলিস্তিনির হামাস জঙ্গিগোষ্ঠীর ইজরায়েল আক্রমণে ইতিমধ্যেই অনেক দেশ ইজরায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছে। হামাস জঙ্গিগোষ্ঠীর আক্রমণে ইতিমধ্যেই প্রাণ হারিয়েছে প্রায় ৭০০ জন। আহত হয়েছেন প্রায় ২৬০০ জন। এই ভয়ঙ্কর রণক্ষেত্রে অনেক ভারতীয় আটকে পড়েছেন। যেমন বলিউড অভিনেত্রী নুসরত ভরুচা ইজরায়েলে আটকে পড়েছিলেন। অনেক বিপদ এড়িয়ে নিরাপদে ৮ অক্টোবর দেশে ফেরেন। এছাড়াও অনেকেই কর্মসূত্রে ইজরায়েলে রয়েছেন। ইজরায়েলের গাজা উপত্যকাকে কেন্দ্র করেই যতো ঝামেলা। ফিলিস্তিনি হামাস জঙ্গিগোষ্ঠী ইতিমধ্যেই ইজরায়েলের একাধিক বাড়ি থেকে লোকজন বের করে দিয়েছেন এবং অনেক নারী অপহরণ করেছে। আর এই ভয়ানক পরিস্থিতিতে আরও একটি মারাত্মক খবর দিলেন ভারতীয় টেলিভিশন অভিনেত্রী মধুরা নায়েক।
যিনি একতা কাপুরের নাগিন সিরিজের একজন গুরুত্বপূর্ণ অভিনেত্রী। অভিনেত্রী জানিয়েছেন, ইজরায়েলে জঙ্গী হানায় মারা গিয়েছেন মধুরা নায়েকের খুড়তুতো বোন ও তাঁর স্বামী। জঙ্গিগোষ্ঠীরা তাঁদের হত্যা করেছে। গতকাল রাতে একটি ভিডিও বার্তায়, অভিনেতা বর্ণনা করেছেন যে কীভাবে চলমান হামাস-ইজরায়েল সংঘর্ষের মধ্যে তাঁদের হত্যা করা হয়। অভিনেতা বলেছেন, চলমান ইজরায়েল-হামাস দ্বন্দ্বের মধ্যে শনিবার তাঁর বোন ও বোনের স্বামীকে তাঁদের সন্তানদের সামনে খুন করা হয়েছে। যেহেতু তাঁরা কোনও ধরণের সহিংসতা সমর্থন করেন না’, তাই তাঁদের গুলি করে হত্যা করা হয়।
মধুরা নায়েক ইনস্টাগ্রামের ভিডিওতে বলেছেন, “আমি, মধুরা নায়েক, ভারতীয় বংশোদ্ভূত একজন ইহুদি। ভারতে এখন আমাদের শক্তি মাত্র ৩০০০। একদিন আগে, ৭ অক্টোবর আমরা আমাদের পরিবারের দুজন সদস্যকে হারিয়েছি। আমার চাচাতো বোন ওদয়া ও তাঁর স্বামীকে তাঁদের দুই সন্তানের উপস্থিতিতে ঠান্ডা মাথায় খুন করা হয়।আমি এবং আমার পরিবার আজ যে দুঃখ এবং আবেগের মুখোমুখি হয়েছি তা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। আজকে ইজরায়েল বেদনায় কাতর। ইজরায়েলের রাস্তাগুলি জ্বলছে হামাসের ক্রোধের আগুনে। যার লক্ষ্যবস্তু হচ্ছে নারী, শিশু, বৃদ্ধ ও দুর্বলদের। মধুরা আরও জানান, “গতকাল, আমি আমার বোন এবং তাঁর পরিবারের একটি ছবি পোস্ট করেছি। কতটা গভীরভাবে ফিলিস্তিনিপন্থী আরব প্রোপাগান্ডা চালায় তা দেখে আমি হতবাক। ইহুদি হওয়ার জন্য তাঁদের লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল। আজ আমি চাই। তবে আমার অনুসারী, বন্ধু এবং যাদের আমি ভালোবাসি, তাঁরা প্রশংসা ছাড়া আর কিছুই দেখায়নি। আত্মরক্ষা সন্ত্রাস নয়। আমি শুধু স্পষ্ট বলতে চাই যে আমি কোনো ধরনের সহিংসতা বা দমন-পীড়নকে সমর্থন করি না।”