নিজস্ব প্রতিনিধি : বর্ধমান স্টেশনে জলের ট্যাঙ্ক ফেটে বিপর্যয়ের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বাড়ল। মৃতের সংখ্যা তিন জন থেকে বেড়ে চার হয়েছে। মৃত ব্যক্তির নাম সুবীর সূত্রধর। তিনি বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালে ভর্তি ছিলেন। এদিকে ট্যাঙ্ক বিপর্যয়ের ঘটনা সামনে আসার পর এবার টনক নড়েছে রেলে। বর্ধমান স্টেশনে থাকা অন্য একটি জলের ট্যাঙ্কের রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে জোর তৎপরতা তৈরি হয়েছে।
জানা গিয়েছে, মৃত সুধীর সূত্রধরের বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের মেমারি কলেজ পাড়ায়। বাবার মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসেন সুধীরবাবুর ছেলে গোপাল। বিপর্যয়ের ঘটনার কথা বলতে গিয়ে গোপাল জানান, ‘ট্রেন ধরবেন বলে সুধীরবাবু স্টেশনে শেডের তলায় অপেক্ষা করছিলেন। সেইসময় আচমকা জলের ট্যাঙ্ক ভেঙে পড়ে। শেড ভেঙে পড়ে বাবার মাথায়। গুরুতর আহত অবস্থায় বাবাকে হাসপাতালে ভর্তি করি। চিকিৎসকরা আজ জানিয়ে দিয়েছেন, বাবা আর নেই।‘
গত বুধবার স্টেশনে বিপর্যয়ের দিন ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সোনারাম টুডু, ক্রান্তি বাহাদুর ও মফিজা খাতুনের। এই ঘটনায় আহত হয়েছিলেন অন্তত ৩৪ জন। আহতদের বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই আহতদের মধ্যেই ছিলেন মেমারির বাসিন্দা সুধীরবাবু। গত বুধবার থেকে তিনি গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। শেষপর্যন্ত এদিন মৃত্যু হল তাঁর।
এদিকে এই বিপর্যয়ের ঘটনার পরই স্টেশনে থাকা অন্য একটি জলের ট্যাঙ্কের ওপর রেলের নজর পড়েছে। জানা গিয়েছে, ওই জলের ট্যাঙ্কটিও ব্রিটিশ আমলে তৈরি।১৯৩৫ সালে তৈরি করা হয়েছিল ট্যাঙ্কটি। স্টেশনের ৮ নম্বর প্লাটফর্মের ধারে রয়েছে এই জলের ট্যাঙ্ক। ৮ নম্বর প্লাটফর্মে যেখানে জলের ট্যাঙ্কটি রয়েছে, তার ধারেই রয়েছে বস্তি। প্রচুর মানুষ সেখানে বসবাস করেন। এছাড়াও প্রচুর দোকানও রয়েছে। সম্প্রতি রেল ব্রিটিশ আমলে তৈরি হওয়া ওই ট্যাঙ্কটিকে রক্ষণাবেক্ষণের কাজে হাত দিয়েছে। ইতিমধ্যে রেলের তরফে বস্তির বাসিন্দা ও দোকানদারদের অন্যত্র চলে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু ওই এলাকার বাসিন্দারা কোথায় যাবেন তা বুঝে উঠতে পারছেন না।