নিজস্ব প্রতিনিধি: গলা ব্যথা নিয়ে চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলেন তরুণী গৃহবধূ(Young House Wife)। চিকিৎসক জানান, তাঁর গলায় ইনফেকশন(Infection in Throat) হয়েছে। অবিলম্বে অস্ত্রোপচারের(Operation) প্রয়োজন রয়েছে। সেই মতো নার্সিংহোমে ভর্তিও হয়ে যান ওই তরুণী। রবিবার দুপুরে সেই অপারেশনও হয়ে যায়। কিন্তু তারপরেই বাঁধে বিপত্তি। অস্ত্রোপচারের শেষে চিকিৎসক জানিয়েছিলেন সুস্থ আছেন রোগী। কিন্তু ওই তরুণীর পরিজনেরা যখন তাঁকে নার্সিংহোমের বেডে দেখতে যান তখন দেখেন সেখানে শুয়ে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন ওই তরুণী। তড়িঘড়ি তাঁকে ICU-তে স্থানান্তরিত করা হয়। এরপর রাত ১০টার কিছু পরেই ওই তরুণীর মৃত্যু(Dead) খবর পান তার পরিবারের সদস্যরা। মৃতার পরিজনদের দাবি, সেই সময় নার্সিংহোমে কোনও চিকিৎসক ছিলেন না। চিকিৎসার গাফিলতিতেই ওই তরুণীর মৃত্যু হয়েছে বলেই এদিন তুলেছেন তার পরিজনেরা। সেই সূত্রেই সোম সকালে তাঁরা ওই নার্সিংহোমে তুমুল বিক্ষোভ দেখান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর শহরতলির বাগুইআটি থানা এলাকায়।
জানা গিয়েছে, মৃতা তরুণীর নাম মীনাক্ষী বৈরাগী সরকার। বয়স মাত্র ১৯। তাঁর বাড়ি দমদম ক্যান্টনমেন্ট এলাকার মাঠকল সুকান্তপল্লি এলাকায়। এদিন ওই তরুণীর মৃত্যুর জেরে নার্সিংহোমের সামনে বিক্ষোভ দেখান তাঁর পরিজনেরা। আর তার জেরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় বাগুইআটির ওই নার্সিংহোমে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বাগুইআটি থানার পুলিশ। গলায় ব্যথা নিয়ে ENT বিশেষজ্ঞ রাহুল সরকারকে দেখিয়েছিলেন মীনাক্ষী। এদিন তাঁকেই মীনাক্ষীর মৃত্যুর জন্য কাঠগড়ায় তুলেছেন মৃতার পরিজনেরা। তাঁর বিরুদ্ধেই তোলা হয়েছে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বাগুইআটি থানার পুলিশ এলেও থানায় এখনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। মীনাক্ষীর দাদা এদিন অভিযোগ তুলেছেন, ‘আমার বোনকে মেরে ফেলল। আমি এদের কঠিন শাস্তি চাই।’ পুলিশ অভিযুক্ত চিকিৎসককে জিজ্ঞাসাবাদ করছে বলেই জানা গিয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে গলায় সংক্রমণের জন্য অপারেশন করার কথা কেন বললেন চিকিৎসক? সেই সমস্যা তো ওষুধ দিয়েই সারানো যায়!