নিজস্ব প্রতিনিধি: সম্প্রতি শুরু হয়েছে মেগাস্টার অমিতাভ বচ্চনের নাতনী নভ্যা নভেলি নন্দার পডকাস্ট শো। প্রথম পর্বে উপস্থিত হয়েছিলেন, নভ্যার দিদা জয়া বচ্চন, এবং নভ্যার মা শ্বেতা বচ্চন। যেখানে, নিজেদের প্রাথমিক জীবনের অনেক কাহিনী তুলে ধরেছেন জয়া বচ্চন, এবং শ্বেতা বচ্চন দুজনেই। মোটামুটি সবারই জানা, এই জায়গায় পৌঁছনোর জন্যে কত ঝক্কি পোহাতে হয়েছে অমিতাভ বচ্চনকে। তাঁর প্রাথমিক জীবন খুবই কষ্টকর কেটেছে।
নভ্যার শোয়ের এই পর্বে তাঁদের মধ্যে কথোপকথনের সময়, প্রবীণ অভিনেত্রী জয়া বচ্চন, অমিতাভের সঙ্গে বিয়ের পর যে কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছিলেন, তা নিয়ে মুখ খুলেছেন। কারণ ১৯৯০ সালে অমিতাভ প্রায় দেউলিয়া হয়ে গিয়েছিলেন। তখন ঠান্ডা মাথায় স্বামীকে সামলেছিলেন প্রবীণ অভিনেত্রী। নীরবে অমিতাভ বচ্চনকে সমর্থন করে গিয়েছেন। চ্যালেঞ্জিং পর্বের কথা স্মরণ করে, জয়া বচ্চন বর্ণনা করেছেন যে, কীভাবে তিনি অমিতাভ বচ্চনের কেরিয়ারের বিপর্যয়ের সময় তার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। এমনকি শুধু একবার নয়, জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে বিভিন্ন ধরণের ব্যর্থতার মধ্য দিয়ে গিয়েছেন অমিতাভ-জয়া। যদিও তখন তাদের জন্য শান্ত থাকার চেয়ে আর ভাল কিছু ছিল না।
তবে জয়ার মেয়ে শ্বেতা বচ্চন এ বিষয়ে মায়ের সঙ্গে একমত নন। কারণ তিনি বিশ্বাস করেন যে, কখনও কখনও একজন পুরুষের জন্য নীরবে দাঁড়িয়ে থাকার পরিবর্তে সমর্থনের উদ্দেশ্যে কিছু শব্দের প্রয়োজন হয়। আর আগে সমস্যা সমাধানের খুব প্রয়োজন। আসলে প্রাথমিক জীবনে অমিতাভের অনেকগুলি ছবি পরপর ফ্লপের মুখ দেখেছিল। তিনি একটি ব্যবসা শুরু করলেও সেটাও লোকসানের পর্যায়ে চলে যায়। তাই একপ্রকার দেউলিয়া হয়ে যান অমিতাভ বচ্চন।
তখন তাঁকে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছিলেন আম্বানি পরিবার। জয়া বচ্চন গত কয়েক বছর ধরে খুব বেছে কাজ করবে। কিন্তু তাকে শেষ দেখা গিয়েছিল করণ জোহরের ২০২৩ সালের রকি অর রানি কি প্রেম কাহানিতে। যেখানে অভিনয় করেন, রণবীর সিং, আলিয়া ভাট, ধর্মেন্দ্র, শাবানা আজমি। যদিও তার অভিনয় ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছিল, ধনলক্ষ্মী রান্ধাওয়া চরিত্রটি সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনার একটি বড় বিষয় হয়ে উঠেছিল।