নিজস্ব প্রতিনিধি: গুরুতর অসুস্থ মেগাস্টার অমিতাভ বচ্চন। মুম্বইয়ের কোকিলাবেন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন অভিনেতা। ঠিক কী হয়েছে তাঁর এখনও বিস্তারিত প্রকাশ্যে আসেনি। জানা গিয়েছে, শুক্রবার (১৫ মার্চ) সকালে মুম্বাইয়ের কোকিলাবেন হাসপাতালে অমিতাভ বচ্চনের অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি সার্জারি করা হয়েছে। এ বিষয়ে আর কোনও এখনও সামনে আসেনি। তবে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৬টা নাগাদ অভিনেতাকে কোকিলাবেন হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। এরপরেই অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি সার্জারি করানো হয়।
এখন তিনি কেমন আছেন বিগ বি, তাও জানা যায়নি। বলিউডের লিভিং লেজেন্ড অমিতাভ বচ্চন, ৮১ বছর বয়সেও তাঁর ফিটনেস, অ্যানার্জি দেখে তরুণরাও রীতিমতো লজ্জা পায়। অভিনয়েও সবসময়েই সক্রিয় তিনি। এই বয়সে অ্যাকশন দৃশ্যে অভিনয়েও তাঁর কোনও না নেই। গতবছর মার্চে প্রভাস এবং দীপিকা পাড়ুকোনের কল্কি ছবির অ্যাকশন দৃশ্যে শুটিং করতে গিয়েও অভিনেতার বুকের পাঁজরে আঘাত লাগে। যে কারণে বেশ কিছুমাস তিনি বিশ্রামে ছিলেন। এছাড়াও সম্প্রতি তিনি অজয় দেবগন এবং সূর্যর সঙ্গে বিজ্ঞাপনের কয়েকটি স্টিল ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন। সেখানে দেখা যায় তাঁর হাতে ব্যান্ডেজ বাধা। পরে জানা যায়, অভিনেতার হাতে সম্প্রতি অস্ত্রোপচার হয়েছিল। কিন্তু বরাবরই নিজের অসুস্থতার কথা গোপনেই রাখতে ভালবাসেন পছন্দ করেন।
এর আগে যখন তার সঞ্চালিত বিখ্যাত শো ‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’ শেষ হয়ে গেল, তখন শোকে বিদায় জানানোর সময় রীতিমতো কেঁদেছিলেন তিনি। পরের সিজনে তাঁকে আর দেখা যাবে কিনা, তা নিয়ে যথেষ্ঠ সংশয় রয়েছে ভক্তদের। তবে এই অসম্ভব বুকে ব্যথা নাহলে অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি সাধারণত করানো হয় না। তাই অভিনেতার আদেউ কী হয়েছে তা তাঁর পরিবার না জানালে জানা সম্ভব নয়। ভাস্কর ডটকমের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, অভিনেতাকে শুক্রবার সকালে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তাঁর X-এ সর্বশেষ পোস্টে (আগের টুইটার) লেখা ছিল, ”ভক্তদের কাছে কৃতজ্ঞ”। এরপরই ভক্তরা উদ্বেগ প্রকাশ করতে শুরু করেন।
অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি কেন করা প্রয়োজন?
ধমনী হল শিরা যা হৃৎপিণ্ড থেকে শরীরের অন্যান্য অংশে রক্ত বহন করে। যাদের ধমনীর সমস্যা আছে বা হার্ট অ্যাটাক হয়েছে তাদের করোনারি এনজিওপ্লাস্টি প্রয়োজন। এছাড়াও শরীরের অন্যান্য অংশে ধমনী বন্ধ থাকলে অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টিও করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে ঘাড়, বাহু, পা, কিডনি এবং পেলভিক অঞ্চলের ধমনী। অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি ব্লকেজ খুলে দেয় এবং ধমনীতে আরও সহজে রক্ত প্রবাহিত হতে দেয়। এর মানে হল যে অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টির পরে, অবরুদ্ধ ধমনীর সঙ্গে সংযুক্ত অঙ্গটি পর্যাপ্ত রক্ত সরবরাহ পাবে এবং সঠিকভাবে কাজ করতে পারবে। অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি আজ বিশ্বব্যাপী একটি খুব সাধারণ অস্ত্রোপচার। আমাদের খাদ্যাভ্যাস এবং ভুল জীবনযাত্রার কারণে কোলেস্টেরল এবং ব্লকেজ সমস্যা খুবই সাধারণ হয়ে উঠেছে। ব্লকেজের কারণে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের জন্য অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টির প্রয়োজন হতে পারে। এনজিওপ্লাস্টি করার আগে আপনাকে কয়েক ঘণ্টার জন্য খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করতে বলবেন। সাধারণত হার্ট অ্যাটাকের পরপরই অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি করা হয়। এনজিওপ্লাস্টি করার পরে, ডাক্তার শরীর থেকে ক্যাথেটারটি সরিয়ে ফেলবেন এবং যে ছিদ্রটি প্রবেশ করেছে সেটি ব্যান্ডেজ করবেন। এনজিওপ্লাস্টি অন্য যেকোনো সার্জারির তুলনায় কম ঝুঁকিপূর্ণ এবং ব্যয়সুলভ।