নিজস্ব প্রতিনিধি: বিশ্বজুড়ে এখন দৈনিক ওমিক্রনের সংখ্যা পারায় ১০ লক্ষ। খুবই খারাপ অবস্থা ব্রিটেন, ফ্রান্স, স্পেনের মতো ইউরোপীয় দেশগুলির পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ার। চিনের অবস্থাও এর থেকে আলাদা নয়। এই অবস্থায় বাংলার চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞ মহলে ক্রমশ উদ্বেগ ছড়াচ্ছে ওমিক্রনকে ঘিরে। তাঁদের আশঙ্কা, রাজ্য সরকার যদি ওমিক্রন ঠেকাতে পরিপূর্ণ লকডাউনের পথে না হাঁটে তাহলে বাংলার ছবিটাও এর থেকে আলাদা কিছু হবে না। ঘটনাচক্রে এদিনই সামনে এসেছে দেশে ওমিক্রনের প্রথম মৃত্যুর ঘটনা। তার জেরে সেই উদ্বেগ আরও বেড়েছে। সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞমহল খুব শীঘ্রই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিতে চলেছেন এই আর্জি জানিয়ে যাতে দ্রুত রাজ্য সরকার ওমিক্রন ঠেকাতে কড়া লকডাউনের পথে হাঁটে। যদিও নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনই কড়া বিধিনিষেধ আরোপ করতে চাইছেন না মুখ্যমন্ত্রী।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, ওমিক্রনের মৃত্যুর হার বিশ্বে এখনও কম থাকলেও একদমই যে হচ্ছে না তা কিন্তু নয়। তাই মৃত্যু ঠেকাতে সংক্রমণ ছড়ানো আটকাতে হবে। আর সেটা তখনই সম্ভব যখন কড়া লকডাউন নেমে আসবে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই ইঙ্গিত দিয়েছেন আগামী ৩ জানুয়ারি থেকে রাজ্যে ওমিক্রন ঠেকাতে কিছু বিধিনিষেধ জারির পথে হাঁটলেও এখনই সব কিছু বন্ধ করে দেওয়া হবে না। প্রতিদিন পরিস্থিতি রিভ্যুউ করা হবে। তারপরই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। কিন্তু চিকিৎসক থেকে বিশেষজ্ঞদের দাবি, এই অপেক্ষা করার নীতি ভুল। কারন এই সময়েই ওমিক্রন ঝড়ের গতিতে ছড়িয়ে পড়বে। এখনই তৃণমূল স্তরে তাকে আটকাতে না পারলে কার্যত বাংলা জুড়ে তান্ডব নৃত্য করবে তারা। বিশেষত উৎসবের নামে যেভাবে ভিড় জমছে নানা জায়গায় তা নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন খুবই। মেলা, সার্কাস, প্রদর্শনী বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। যদিও এই ধরনের কোনও কড়া পদক্ষেপ যে রাজ্য সরকার নিচ্ছে না তার ইঙ্গিত মিলেছে নবান্ন থেকেই।