এই মুহূর্তে




বড়সড় ধাক্কা! দুবাই থেকে ‘নিখোঁজ’ মহাদেব বেটিং অ্যাপের মূল অভিযুক্ত, প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়া স্থগিত

নিজস্ব প্রতিনিধি: ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে দুবাই কর্তৃপক্ষ কোটি কোটি টাকার মহাদেব অনলাইন বেটিং অ্যাপ মামলার দুই প্রধান অভিযুক্ত রবি উৎপলকে গ্রেফতার করেছিল। আশা করা হয়েছিল যে, তাঁকে ভারতে নির্বাসিত করা হবে। ইন্টারপোলের জারি করা রেড কর্নার নোটিশের প্রেক্ষিতে উৎপলকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। কিন্তু ৪৫ দিন পরে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়। তবে উৎপলের প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়া মুলতুবি থাকায় তাঁকে নজরদারিতে রাখা হয়েছিল। এখন জানা যাচ্ছে, রবি উৎপলকে এখন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি দুবাই বা ভারত কোনও কর্তৃপক্ষের হেফাজতে নেই, তিনি ‘নিখোঁজ’। তাই তাঁর প্রত্যর্পণ ‘স্থগিত’ রাখা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। দুবাই পুলিশ জানিয়েছে যে, উৎপল সংযুক্ত আরব আমিরাত ছেড়ে অজ্ঞাত স্থানে চলে গিয়েছেন। তাই তাঁর প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়া স্থগিত করার প্রস্তাব ছাড়া তার অবস্থান বা গন্তব্য সম্পর্কে আর কোনও তথ্য সরবরাহ করা হয়নি। এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত উৎপলকে ফিরিয়ে আনার অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছে। কারণ কিছু নথি সময়মতো পাওয়া যায়নি।

তবে উৎপলের নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার খবর ইডির জন্য একটি বড় ধাক্কা। করেননি তাঁর সহযোগী সৌরভ চন্দ্রকর এখন তদন্তাধীন, তিনি আপাতত দুবাই কর্তৃপক্ষের হেফাজতে রয়েছেন। চন্দ্রকরকে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে গ্রেফতার করা হয়েছিল এবং গৃহবন্দী করা হয়েছিল। উৎপলের মতো, ভারতও তাকে প্রত্যর্পণের অনুরোধ করেছিল, কিন্তু তারপর থেকে আর কোনও অগ্রগতি হয়নি বলে জানা গিয়েছে। রবি উৎপল দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্র ভানুয়াতু থেকে পাসপোর্ট ধারণ করে ছিলেন। যেটি অস্ট্রেলিয়া থেকে প্রায় ২,০০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। সুতরাং উৎপল এবং চন্দ্রকরের কাছে এখনও ভানুয়াতুরের নাগরিকত্ব রয়েছে। যাঁরা তাদের অপরাধমূলক নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের উদ্দেশ্যে দ্বীপপুঞ্জে সম্পত্তি কিনেছিল।

প্রসঙ্গত, মার্চ মাসে ভানুয়াতুতে পলাতক ব্যবসায়ী ললিত মোদির পাসপোর্ট বাতিল করা হয়, যিনি আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে ভারতে ওয়ান্টেড। ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত, মহাদেব অ্যাপটি প্রতিদিন প্রায় ২০০ কোটি টাকা লাভ করেছিল। জালিয়াতির মাধ্যমে গ্রাহকদের অর্থ আত্মসাৎ করেছিল। অপরাধ ব্যবস্থার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল ৬,০০০ কোটি টাকার এই বেটিং নেটওয়ার্কটি। যা গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ৩,২০০ প্যানেলের মাধ্যমে পরিচালিত হত। এই App-টির মাধ্যমে দৈনিক বাজি প্রায়শই ২৪০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেত। এমনকীদুবাইয়ের কার্যক্রমে প্রায় ৩,৫০০ জন জড়িত ছিল, যখন ভারতের ছত্তিশগড়ের বিভিন্ন শহর, মালয়েশিয়া এবং থাইল্যান্ড থেকে কল সেন্টার পরিচালিত হত। আর চন্দ্রকর এবং উৎপলের পুলিশ, আমলা এবং রাজনীতিবিদদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। তাঁরা অ্যাপটিকে তদন্তকারী সংস্থাগুলির রাডার থেকে দূরে রাখার জন্য রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের নিয়মিত অর্থ প্রদান করতেন বলে অভিযোগ। কিন্তু দুই বছর আগে যখন মামলাটি ফাঁস হয়ে গেলে ইডির জালে জড়িয়ে পড়েন কংগ্রেসের সিনিয়র নেতা ভূপেশ বাঘেল। তাঁর বিরুদ্ধে উৎপলের কাছ থেকে ৫০৮ কোটি টাকা নেওয়ার অভিযোগ ছিল। তবে বাঘেল এই বিষয়ে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছিলেন।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

জেএনইউ ছাত্র সংসদ রইল বামেদের কব্জায়, ধরাশায়ী সঙ্ঘের ছাত্র সংগঠন এবিভিপির প্রার্থীরা

বিহারের এই শহরের বেহাল অবস্থা, সেতু না থাকায় নৌকা করে ভোট দিতে আসেন স্থানীয়রা

বিহারে বিক্ষিপ্ত অশান্তির মধ্যেই শেষ প্রথম দফার নির্বাচন, বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৬০.১৩ শতাংশ

 জুবিন গর্গের মৃত্যুকাণ্ডে গ্রেফতার ভাই, ‘নৈতিক’ কারণে ইস্তফা অসমের মুখ্য তথ্য কমিশনারের

OBC মামলা আপাতত শুনতে পারবে না কলকাতা হাইকোর্ট, জানিয়ে দিল সুপ্রিমকোর্ট

নিকাশি নালা থেকে উদ্ধার মহিলার মুণ্ডুহীন নগ্ন দেহ, ভয়ঙ্কর ঘটনা যোগী রাজ্যে!

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ