এই মুহূর্তে




‘শেখ হাসিনাকে মুখ বন্ধ রাখতে বলুন’, ঢাকায় ভারতীয় দূতকে ডেকে ধমক ইউনূস সরকারের  

নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: দেশত্যাগী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুখ বন্ধ রাখার জন্য নয়াদিল্লির উপরে চাপ তৈরি করল মোল্লা মুহাম্মদ ইউনূসের সরকার। বুধবার (১২ নভেম্বর) সেগুনবাগিচায় বিদেশ মন্ত্রকের কার্যালয়ে ডেকে পাঠানো হয় ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের উপরাষ্ট্রদূত পবন বাধেকে। তাঁকে তলব করেন বিদেশ মন্ত্রকের দক্ষিণ এশিয়া বিভাগের মহাপরিচালক ইশরাত জাহান। সূত্রের খবর, ভারতীয় দূতকে কড়া ভাষায় তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার মতো ফ্যাসিবাদীকে আশ্রয় দিয়েছেন ভাল কথা। কিন্তু তিনি দিল্লিতে বসে বিভিন্ন গণমাধ্যমে বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা বলে চলেছেন। তাঁর মুখ বন্ধ করতে এবার পদক্ষেপ নিন।’

গত বছরের ৫ অগস্ট সেনা অভ্যুত্থানের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে দিল্লিতে আশ্রয় নেন বাংলাদেশের ত‍ৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গোপন ডেরাতে থেকেই তিনি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে লাগাতার সাক্ষা‍ৎকার দিয়ে চলেছেন। কিভাবে মার্কিন ও পাকিস্তান সরকারের যৌথ ষড়যন্ত্রে তাঁকে ক্ষমতাচ্যূত হতে হয়েছে সেই তথ্যও ফাঁস করেছেন। সেই সঙ্গে বাংলাদেশে কিভাবে মোল্লা ইউনূসের সরকার আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে নিধন যজ্ঞ চালাচ্ছেন তাও তুলে ধরেছেন। ফলে মুখ পুড়েছে রাজাকার তথা আইএসআইয়ের চর ইউনূসের। গত এপ্রিলে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাঙ্ককে বিমসটেকের বৈঠকের ফাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করেন ইউনূস। ওই বৈঠকেও শেখ হাসিনার কণ্ঠরোধ করার আর্জি জানান। যদিও ভারতের প্রধানমন্ত্রী ওই আবদার মানেননি।

গত জুনে লন্ডনের চ্যাথাম হাউসের রয়্যাল ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সে একটি প্রশ্নোত্তর পর্বে মোদিকে হাসিনার কণ্ঠরোধের অনুরোধের কথা প্রকাশ্যে আনেন ইউনূস। অনুষ্ঠানে তিনি বলেন ‘প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে আমার কথা বলার সুযোগ হয়েছিল। তখন বলেছিলাম, শেখ হাসিনাকে ওখানে থাকতে দিয়েছেন। আমি তো আপনাকে নীতি পরিবর্তনে বাধ্য করতে পারি না। দয়া করে এটা নিশ্চিত করুন যাতে, উনি বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ না করেন। উনি বিভিন্ন কর্মসূচির দিনক্ষণ বলেছেন, তাতে বাংলাদেশে উত্তেজনা তৈরি হচ্ছে। কেন আমাদের দেশে উনি উত্তেজনা তৈরি করছেন!’ তাঁর কথা অনুযায়ী, এরপর মোদি বলেছিলেন, ‘সমাজমাধ্যমে এ সব হচ্ছে। সমাজমাধ্যমকে তো আমি নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না’। আমাদের দেশে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে, আর আপনি সমাজমাধ্যম বলে বিষয়টি এড়িয়ে যেতে পারেন না।’

আগামিকাল বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) জুলাই গণহত্যা মামলায় দেশত্যাগী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাজার রায় কবে ঘোষণা করা হবে, তা জানাবে আন্তর্জাতিক আপরাধ ট্রা্ইব্যুনাল। ওই রায় ঘোষণা নিয়ে ইতিমধ্যেই লকডাউনের ডাক দিয়েছে আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব। গত কয়েকদিন ধরে ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের ঝটিকা মিছিলের পাশাপাশি বিভিন্ন নাশকতামূলক ঘটনা ঘটেছে। আর তাতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছে ইউনূস সরকার। সূত্রের খবর, এদিন বিদেশ মন্ত্রকে ভারতের দূত পবন বাধেকে ডেকে কড়া ভাষায় বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে বিচারাধীন ও পলাতক এক ব্যক্তিকে আশ্রয় দেওয়া এবং তাকে বাংলাদেশবিরোধী ঘৃণামূলক বক্তব্য দেওয়ার মঞ্চ করে দেওয়া—এটি দুই দেশের সম্পর্কের জন্য মোটেও সহায়ক নয়।নয়াদিল্লি যেন এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেয় ও শেখ হাসিনার কণ্ঠরোধ করে।’

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

অশান্তির আগুনে জ্বলছে ঢাকা, এবার আওয়ামী লীগের দফতরে আগুন ধরিয়ে দিল এনসিপি সন্ত্রাসীরা

জুলাই গণহত্যা মামলায় শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা হবে সোমবার

বাংলাদেশের মাটিতে ৬০ জঙ্গি শিবির চালাচ্ছেন মাসুদ আজহার, অর্থ জোগাচ্ছেন ইউনূসের ছোট কন্যা

গার্হস্থ্য সহিংসতার অভিযোগ, হিরো আলমের বিরুদ্ধে ফের গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

ঢাকায় পর পর বাসে আগুন, নাশকতার আশঙ্কায়  সব বিমানবন্দরে ‘হাই অ্যালার্ট’

আওয়ামী লীগ নিধন যজ্ঞ চালাতে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সেনার বিশেষ ক্ষমতা বাড়াল ইউনূস সরকার

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ