নিজস্ব প্রতিনিধি: খাদ্য দ্রব্যের দাম আকাশ দিনে-দিনে আকাশ ছোঁয়া হতে চলেছে। পকেটে ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে কিন্তু বাজারের ব্যাগ ভরছেনা। বাজারে পুলিশ এলে দাম কমে। পুলিশ চলে যেতেই আবার দাম বেড়ে যায়। গত কয়েকদিন ধরে উত্তরবঙ্গের বাজারগুলিতে আসা সাধারন মানুষের তরফ থেকে এমনই অভিযোগ শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু বাস্তব পরিস্থিতি ঠিক কী তা দেখতে কলকাতা থেকে জলপাইগুড়ি গেল স্পেশাল ট্রাস্ক ফোর্স ও এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের প্রতিনিধিরা।
উত্তরবঙ্গের বাজারগুলিতে অগ্নিমূল্য। চাল, ডাল, নুন, তেল, শাকসবজি কার্যত ছোঁয়া যাচ্ছে না। পাশাপাশি তাদের আরও অভিযোগ ছিল এই পরিস্থিতি যাদের দেখার কথা অর্থাৎ দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে যেই টাক্স ফোর্স গঠন করা হয়েছিল তাদের দেখা নেই বাজারগুলিতে। আর এর সুযোগ নিয়ে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যাবসায়ী যা খুশি তাই দাম নিচ্ছে। ফলে পকেটের টাকা শেষ হয়ে গেলেও বাজারের ব্যাগ ভরছে না। আর এই অভিযোগ সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসে এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ। রবিবাসরীয় সকালে জলপাইগুড়ির বাজারগুলিতে ডিস্ট্রিক্ট এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে যৌথ অভিযানে নামেন কলকাতা থেকে আগত স্টেট এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের ডেপুটি সুপারিন্টেন্ডেন্ট আশিস পালিত ও তাঁর টিম।
এদিন তারা জলপাইগুড়ির দিন বাজারের পাইকারি ও খুচরা উভয় বাজারে দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবার পাশাপাশি সাধারন ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ের সঙ্গে কথা বলেন। ক্রেতাদের দাবি পুলিশের এই অভিযান লাগাতার চলুক। আশিস পালিত বলেন, ‘আমরা আজ ডিস্ট্রিক্ট এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে অভিযানে নেমেছি। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখলাম। দাম মোটামুটি ঠিকঠাকই আছে। সাধারন মানুষের সঙ্গে কথা বললাম। তারা যেই সমস্ত অভিযোগ করলেন সেইগুলি মাথায় রেখে আগামি পদক্ষেপ নেওয়া হবে’।