নিজস্ব প্রতিনিধি: পাহাড়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা আর জিইয়ে রাখতে চাইছে না রাজ্য সরকার। তাই দেরী না করে আগামী মাসে অর্থাৎ জুনেই গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিটিএ) ও শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের ভোট করানোর পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। ইতিমধ্যেই জিটিএ ও শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের নির্বাচন নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকরা আলোচনা শুরু করে দিয়েছেন। ভোটের জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাসকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। রাজ্য সরকারের কাছ থেকে প্রস্তাব পাওয়ার পরে প্রস্তুতি শুরুও করে দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
সোমবার নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘ ১০ বছর জিটিএ নির্বাচন হয়নি। আর জিটিএ নির্বাচন না হওয়াকে হাতিয়ার করে রাজ্য সরকারকে অস্বস্তিতে ফেলতে চাইছে পাহাড়ের বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল। আর তাতে ইন্ধন জুগিয়ে চলছে বিজেপি। শুধু তাই নয়, জিটিএ নির্বাচন ভেস্তে দেওয়ার জন্য পরিকল্পিতভাবেই উত্তরবঙ্গকে নিয়ে আলাদা রাজ্যের দাবি তুলছেন বিজেপি বিধায়ক ও সাংসদদের একাংশ। কিন্তু বিজেপির সেই রণকৌশল ভেস্তে দিতে সময় নষ্ট না করে অবিলম্বে জিটিএ ও শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের নির্বাচন সেরে ফেলতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
গত বছরের শেষের দিকে উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েই চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের পরে পাহাড়ে জিটিএ ও শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের নির্বাচন সেরে ফেলার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চলতি বছরের মার্চেই পাহাড় সফরে গিয়ে স্থানীয় দলগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন তিনি। অজয় এডওয়ার্ডের হামরো পার্টি সহ অধিকাংশ দলই পাহাড়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা কাটাতে জিটিএ নির্বাচনের পক্ষে সওয়াল করেছিল। তবে উল্টোপথে হেঁটেছিল বিমল গুরুংয়ের দল। মুখ্যমন্ত্রী পাহাড়ি দলগুলির নেতাদের নিজেদের মধ্যে ঝামেলা মিটিয়ে নেওয়ার পরামর্শও দিয়েছিলেন।