নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: মোদি সরকারের জমানায় দেশের আম আদমির হাল কতটা শোচনীয়, বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় সরকারের পরিসংখ্যানেই তা স্পষ্ট। এদিন এপ্রিল মাসের খুচরোর মুদ্রাস্ফীতি সূচক প্রকাশ করা হয়েছে। গত মাসে দেশে খুচরোর মুদ্রাস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৭৯ শতাংশে। অথচ তার আগের মাসে অর্থাৎ মার্চে খুচরোর মুদ্রাস্ফীতি ছিল ৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ। ২০১৪ সালের মে মাসের পরে এপ্রিল মাসে খুচরোর মুদ্রাস্ফীতি সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। তার মধ্যে খাদ্যদ্রব্যের মুদ্রাস্ফীতির হার এক ধাক্কায় ৭ দশমিক ৬৮ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ১০ শতাংশ।
গত কয়েক মাস ধরেই দেশে জ্বালানির বেলাগাম মূল্যবৃদ্ধির জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আকাশ ছুঁয়েছে। বাজারে গিয়ে জিনিসপত্র কিনতে আম আদমিকে ছ্যাঁকা খেতে হচ্ছে। অনেককেই খালি পেটে দিন কাটাতে হচ্ছে। সহজে যে জিনিসপত্রের দাম কমবে না, গত সপ্তাহেই দেশবাসীকে তা আগাম জানিয়ে দিয়েছিলেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। অন্তত আগামী তিন মাস যে জিনিসের দাম কমবে না, তা সরকারি পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট হয়েছিল।
‘আচ্ছে দিনে’র স্বপ্ন ফেরি করা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সবল নেতৃত্বে সাধারণ মানুষের কতটা ‘বুরা’ হাল তা টের পাওয়া যাচ্ছে। গত ৬ বছরে দেশে খুচরো মুদ্রাস্ফীতি সর্বাধিক হয়েছিল অক্টোবরে। ৭.৬১ শতাংশ। মার্চে তা কিছুটা কমে হয়েছিল ৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ। এপ্রিলে তা এক ধাক্কায় পৌঁছে গিয়েছে ৭ দশমিক ৭৯ শতাংশে। সেই সঙ্গে আট বছরের রেকর্ড ভেঙেছে। ২০১৪ সালের মে মাসের পরে খুচরো মুদ্রাস্ফীতি সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছল। এপ্রিলে চাল-ডাল-আটা-ভোজ্য তেল সহ খাদ্যদ্রব্যের দাম আগের মাসের চেয়ে ৮ দশমিক ১০ শতাংশ বেড়েছে। আর শাক-সবজির দাম বেড়েছে ১৫ দশমিক ৪১ শতাংশ। মোদি সরকারের পক্ষ থেকে জিনিসের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির দায় অতিবৃষ্টি ও ভোজ্য তেলের উপরে চাপানো হয়েছে।