নিজস্ব প্রতিনিধি: কোভিড(Covid) নিয়ে বাঙালির আতঙ্ক যে এখনও বজায় রয়েছে সেটা আবারও সামনে চলে আসছে রাজ্যে(Bengal) ফের সংক্রমণ বাড়ার ঘটনায়। যদিও চিকিৎসক থেকে বিশেষজ্ঞদের দাবি, কোভিড এখন মরশুমি সর্দি, কাশি, জ্বরে পরিণত হয়েছে। তাই খুব ভয় পাওয়ার আর কারণ নেই। কিন্তু শুনছে কে? কোভিড ধরা পড়লেই এখন মানুষ দলে দলে হাসপাতালে(Hospital) এসে ভর্তি হচ্ছেন। ফলে রাজ্যের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে আবারও ফিরেছে পুরাতন ছবি, ঠাঁই নেই ঠাঁই নেই। এর জেরে ধাক্কা খাচ্ছে হাসপাতালগুলির জরুরি পরিষেবা। অনেকেই সেখানে গুরুতর অসুস্থ হয়ে এলেও ভর্তি হতে পারছেন না বেডের অভাবে। এই অবস্থায় রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর(Health Department) হাসপাতালে ভর্তি হয়ে কোভিডের চিকিৎসার ক্ষেত্রে নতুন গাইডলাইন(Guideline) বার করে দিল।
বাংলায় এখন কোভিডের সংক্রমণ বেশ বেড়ে চলেছে। তবে দেখা যাচ্ছে যারা কোভিডে আক্রান্ত হচ্ছেন তাঁদের হয় উপসর্গ নেই, আর থাকলেও তা মৃদু। তবে তার মধ্যেই চোখে পড়ছে সংক্রমণের মাত্রা বাড়ার পাশাপাশি বেড়েছে চলেছে গুরুতর অসুস্থদের সংখ্যা, যাদের একটা বড় অংশ আবার বয়স্ক। এইসব কারণেই স্বাস্থ্য দফতর নতুন করে গাইডলাইন প্রকাশ করে দিল। তাতে বলা হয়েছে, কোভিডে আক্রান্ত ব্যক্তি ঠিক কতটা গুরুতর অসুস্থ তা সবার আগে দেখতে হবে। যদি কোনও ব্যক্তি কোভিডের সব উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে আসেন তাহলে সেই সব উপসর্গের মাত্রা দেখে তবেই তাঁককে হাসপাতালে ভর্তি নিতে হবে। মৃদু উপসর্গদের ক্ষেত্রে হাসপাতালে ভর্তির কোনও প্রয়োজন নেই। তবে উপসর্গ গুরুতর হলে তা যেন লঘু করে দেখা না হয়। কেননা, লঘু করে দেখলে পরিস্থিতি হাতের বাইরে বেরিয়ে যেতে পারে যার পরিণাম মৃত্যু।
স্বাস্থ্য দফতরের গাইডলাইনে বলা হয়েছে, যদি কারও টানা দু’দিনের বেশি ধূম জ্বর থাকে, যদি প্রবল কাশি কিংবা শ্বাসকষ্ট থাকে, যদি রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা ৯৪% বা তার চেয়েও বেশি কমে যায়, যদি বুকে ব্যথা বা মানসিক আচ্ছন্ন ভাব থাকে কিংবা যদি বাড়াবাড়ি কো-মর্বিডিটি থাকে তাহলে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা যাবে। এক্ষেত্রে যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে। সোম সন্ধ্যায় রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে তাতে দেখা যাচ্ছে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে মোট ১,১৩২ জন কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। যা গত কয়েক দিনের তুলনায় অন্তত ৬০০ কম। যদিও স্বাস্থ্যকর্তারা জানাচ্ছেন, রবিবার ছুটির দিনে কম পরীক্ষা হওয়ার জন্যই কম পজিটিভ এসেছেন। সাধারণত যেখানে গত সপ্তাহে গড়ে রোজ প্রায় ১২ হাজার নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, সেখানে রবিবার মাত্র ৭,৪৭৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।