নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: দুই বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা ফেরদৌস আহমেদ। কলকাতা ইন্ডাস্ট্রিতে কয়েক দশক রাজত্ব করেছেন বাংলাদেশের এই অভিনেতা। কখনও রচনা, কখনও ঋতুপর্ণা, একাধিক বাংলা অভিনেত্রীর সঙ্গে অভিনয় করে কলকাতার দর্শকদের মন জয় করেছেন অভিনেতা। তবে বহুদিন ধরেই বাংলা পর্দায় দেখা যায়না ফেরদৌসকে। কলকাতা ইন্ডাস্ট্রি কে ইতি জানিয়ে বর্তমানে ঢালিউডেই রাজত্ব তাঁর। শোনা যাচ্ছে, চলতি বছর বাংলাদেশে নির্বাচনেও দাঁড়াবেন অভিনেতা। বাংলাদেশে ফেরদৌসের স্থান অনেকটাই উঁচুতেই। তাঁকে একটিবার দেখার জন্যে ভক্তরা দীর্ঘ অপেক্ষা করতেও প্রস্তুত। যাই হোক, সম্প্রতি নায়ক গিয়েছিলেন তাঁর বাংলাদেশের গ্রামের বাড়িতে, তাও ১৫ বছর পর, সময়টা অনেকটাই লম্বা। গ্রামের ছেলেকে কাছে পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই আনন্দে উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়েন তাঁর গ্রামের অধিবাসীরা। প্রায় ১৫ বছর পর নিজ গ্রামে ফিরে নায়কও আবেগে ভাসলেন।
বুধবার কুমিল্লার তিতাসের কাপাশকান্দিতে প্রিয় নায়ককে একনজর দেখতে স্বাভাবিকভাবেই ভিড় জমিয়েছিলেন ভক্তরা। এদিন গ্রামবাসীরা নায়ককে আমন্ত্রণ জানাতে তাঁর বাবার প্রতিষ্ঠিত স্কুলের মাঠে দারুণ অভ্যর্থনার আয়োজন করেছিলেন। ফুল দিয়ে বরণ করে নেয় শিক্ষার্থীরা। তাঁকে দেখতে ভিড় জমান আশপাশের গ্রামের বাসিন্দারাও। বর্তমানে ফেরদৌস তাঁর বাবার তৈরি স্কুল কাপাশকান্দি মডেল অ্যাকাডেমির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন।
ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ তিন নিয়োগ প্রক্রিয়া সংক্রান্ত বিষয়ে তিনি এদিন গ্রামে যান। বাংলাদেশের স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, “আমার কাকাদের ইচ্ছা পোষণে আমি প্রতিষ্ঠানটির সভাপতির দায়িত্ব নিয়েছে। এলাকার উন্নয়নের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি আপডেট করা প্রয়োজন। সরকার আমাকে একটি বড় দায়িত্ব দিয়েছে, আমি মাঝে মাঝে এখানে আসব, তবে সেটা স্কুলের স্বার্থে।” এদিন রাজনৈতিক সম্পর্কে নায়ককে জিজ্ঞাসা করা হয়, কুমিল্লা-২ আসনে সংসদ নির্বাচনে আপনার নাম শোনা যাচ্ছে, উত্তরে তিনি বলেন,”এখন সামাজিক কাজে এসেছি। যখন পলিটিক্যাল কাজে আসব তখন নির্বাচন সংক্রান্ত কথা বলবো।”