নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: রাতে কৌশলেই দোকানের ভিতরে ঢুকে পড়েছিল চোর বাবাজীবন। পছন্দের মাল বগলদাবা করে বের হতে গিয়ে দেখতে পায়, ভোরের আলো ফুটে গিয়েছে। লোকজনের আনাগোনা শুরু হয়েছে। ধরা পড়লে যে সাধারণ মানুষের হাতে গণপিটুনি খেতে হবে, তা বুঝতে পেরেই বুদ্ধি আঁটল। সরাসরি জাতীয় জরুরি সেবা- ৯৯৯ নম্বরে কল দিয়ে সহায়তা চাইল। আর সেই ফোন পেয়ে ছুটে গেল পুলিশ। তবে প্রথমে লোকটিকে খুঁজে না পেলেও যখন পাওয়া গেল তখন ভিমরি খাওয়ার অবস্থা পুলিশ কর্মীদের। শেষ পর্যন্ত দোকানের ভিতর থেকে সাহায্যপ্রার্থী চোরকে উদ্ধার করে গ্রেফতার করেন। বুধবার চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বরিশাল সদর উপজেলার চর কাউয়া ইউনিয়নের এ আর খান বাজারে।
বন্দর থানার ওসি আসাদুজ্জামান সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘ধৃত ইয়াসিন খাঁ পেশাদার চোর। বাড়ি ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার ছিলারিশ গ্রামে। বর্তমানে বরিশাল শহরের কালুশাহ সড়ক এলাকার একটি ভাড়া বাড়িতে থাকে। মঙ্গলবার রাতে চুরির উদ্দেশে চর কাউয়া ইউনিয়নের এ আর খান বাজারের ঝন্টু মিয়ার মুদিদোকানের দরজার তালা ভেঙে ভিতরে ঢোকে। তার পরে পছন্দের মাল কয়েকটি ব্যাগে ভরে। কিন্তু চুরি করতে গিয়ে কখন ভোরের আলো ফুটে গিয়েছে টের পায়নি। ধরা পড়লে যে নির্ঘাত গণপিটুনির শিকার হতে হবে এবং তাতে প্রাণহানির সংশয় রয়েছে তা বুঝতে অসুবিধা হয়নি। তাই বিপদ থেকে বাঁচতে সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোন থেকে জাতীয় সেবা নম্বর ৯৯৯–এ ফোন করে ইয়াসিন বলে, ‘সে খুব বিপদে পড়েছে। তাঁকে যেন দ্রুত পুলিশ এসে উদ্ধার করে। পুলিশ সদস্যরা গিয়ে দোকানের ভিতর থেকে ইয়াসিনকে উদ্ধার করে।’
বন্দর থানার ওসি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমার চাকরি জীবনে কখনও এমন ঘটনার মুখোমুখি হইনি।’ যার দোকানে চুরি করতে গিয়ে চোর বাবাজীবনের এমন করুণ দশা হয়েছিল সেই ঝন্টু হাওলাদার সাংবাদিকদের বলেন, ‘গতকাল বুধবার সকালে পুলিশ আমার দোকানের কাছে এসে খোঁজাখুঁজি করার পরে আমি সেখানে আসি। তখন কিছুই অনুমান করতে পারিনি। পরে দোকান থেকে একজনকে বের করায় বুঝতে পারি চোর ধরেছে। পরে জানতে পারি ওই ব্যক্তি ৯৯৯-এ কল করে সহায়তা চেয়েছিলেন।’