এই মুহূর্তে




ঢাকায় পর পর বাসে আগুন, নাশকতার আশঙ্কায়  সব বিমানবন্দরে ‘হাই অ্যালার্ট’

নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: দেশত্যাগী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচারের রায়ের দিন ঘোষণার আগেই নতুন করে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে রাজধানী ঢাকা। গতকাল সোমবার থেকে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তে ধারাবাহিক ককটেল বিস্ফোরণের পাশাপাশি বিভিন্ন বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটেছে। পরিস্থিতি সামলাতে মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) ঢাকাজুড়ে হাই অ্যালার্ট জারি করেছিল পুলিশ। যদিও তাতে লাভ হয়নি। এদিন সন্ধ্যা ছয়টার দিকে রাজধানীর সূত্রাপুরে মালঞ্চ বাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। গত ৪৮ ঘন্টা ধরে চলা ধারাবাহিক বিস্ফোরণ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। নাশকতার আশঙ্কায় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সহ সব বিমানবন্দরে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। প্রতিটি বিমানবন্দর সুরক্ষার জন্য বাড়তি নিরাপত্তা রক্ষী মোতায়েনের পাশাপাশি নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে। দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব রুখতে ব্যর্থ হয়ে নাশকতা ঠেকাতে সাধারণ মানুষের সহযোগিতা চেয়েছেন ঢাকার পুলিশ কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী। তাতে আরও ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।

গত বছরের জুলাইয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলন দমানোর নামে গণহত্যা চালানোর জন্য দেশত্যাগী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে একতরফা বিচার সম্পন্ন করেছে জামায়াত ইসলামীর নেতাদের সমন্বয়ে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।। আগামী ১৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার ট্রাইব্যুনালের তরফে বঙ্গবন্ধু কন্যার বিরুদ্ধে চলা মামলার রায় কবে দেওয়া হবে তা ঘোষণা করা হবে। তদারকি সরকারের তরফে ইতিমধ্যেই দেশত্যাগী প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যুদণ্ড দাবি করা হয়েছে।

শেখ হাসিনার বিচারের রায় ঘোষণা নিয়ে চরম পথে হেঁটেছে তাঁর দল আওয়ামী লীগ। ১৩ নভেম্বর ঢাকা লকডাউনের ডাক দেওয়া হয়েছে। তবে তার আগেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের রাজধানী।। গতকাল সোমবার ঢাকার বেশ কয়েকটি জায়গায় পর পর ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। একজনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে দুষ্কৃতীরা। গভীর রাতে যাত্রাবাড়ী, উত্তরা ও বসুন্ধরা এলাকায় রাইদা পরিবহনের দুটি ও রাজধানী পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেয় দুষ্কৃতীরা। আচমকাই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তলানিতে গিয়ে ঠেকায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন বাসিন্দারা। অনেকেই প্রাণভয়ে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় বের হচ্ছেন না।

এদিনই নাশকতার আশঙ্কায় সবগুলি বিমানবন্দরে বাড়তি নিরাপত্তার নির্দেশ জারি করেছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ। বাংলাদেশে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটে তিনটি আন্তর্জাতিকে এবং কক্সবাজার, রাজশাহী, যশোর, বরিশাল, সৈয়দপুর, কুমিল্লা ও ঈশ্বরদীতে মোট সাতটি অভ্যন্তরীণ বিমান বন্দর রয়েছে। এই বিমানবন্দরগুলোর পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের। বিমানবন্দরগুলির দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের কাছে পাঠানো চিঠিতে বেবিচকের তরফে সর্বোচ্চ সংখ্যক নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন, সবার নিরাপত্তা তল্লাশি ও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার ওপর জোর দিতে বলেছে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

অশান্তির আগুনে জ্বলছে ঢাকা, এবার আওয়ামী লীগের দফতরে আগুন ধরিয়ে দিল এনসিপি সন্ত্রাসীরা

জুলাই গণহত্যা মামলায় শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা হবে সোমবার

‘শেখ হাসিনাকে মুখ বন্ধ রাখতে বলুন’, ঢাকায় ভারতীয় দূতকে ডেকে ধমক ইউনূস সরকারের  

বাংলাদেশের মাটিতে ৬০ জঙ্গি শিবির চালাচ্ছেন মাসুদ আজহার, অর্থ জোগাচ্ছেন ইউনূসের ছোট কন্যা

গার্হস্থ্য সহিংসতার অভিযোগ, হিরো আলমের বিরুদ্ধে ফের গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

আওয়ামী লীগ নিধন যজ্ঞ চালাতে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সেনার বিশেষ ক্ষমতা বাড়াল ইউনূস সরকার

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ