নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: তিনি কতটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসাপরায়ণ ফের একবার তার প্রমাণ রাখলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সঙ্কটজনক প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিয়ে যাওয়ার আর্জি খারিজ করে দিয়েছেন। রবিবার আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। ইতিমধ্যেই আইন মন্ত্রকের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা গত কয়েকদিন ধরেই সঙ্কটজনক। গত ৫২ দিন ধরে রাজধানীর এক বেসরকারি হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি তিনি। চিকিৎসকরা জানিয়ে দিয়েছেন, দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী যে জটিল রোগে আক্রান্ত, তার চিকিৎসা দেশে সম্ভব নয়। অতি দ্রুত বিদেশে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন। নাহলে শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি ঘটবে।
চিকিৎসকদের পরামর্শের পরেই বিএনপি চেয়ারপার্সনকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে আবেদন জানিয়েছিলেন খালেদার ভাই। সেই আবেদন পত্রের পরিপ্রেক্ষিতে আইন মন্ত্রকের কাছে পরামর্শ চেয়েছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। এদিন আইনমন্ত্রী জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যেহেতু প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শাস্তিপ্রাপ্ত আসামী, তাই তাঁকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার কোনও সুযোগ নেই।’ উল্লেখ্য, জিয়া অনাথ দাতব্য অছি পরিষদ এবং জিয়া দাতব্য অছি পরিষদের দুর্নীতির অপরাধে ২০১৮ সালে ১০ বছরের কারাদণ্ডের সাজা শোনানো হয়েছিল প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি তাঁকে জেলে পাঠানো হয়। ২০২০ সালের ২৫ মার্চ দেশে করোনার প্রকোপের পরে নির্বাহী আদেশে সাজা স্থগিত করে বিএনপি চেয়ারপার্সনকে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দেয় সরকার। তার পরে ছয় মাস অন্তর তাঁর সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।