এই মুহূর্তে




শেখ মুজিব-সহ চার জাতীয় নেতার মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি বাতিল করছে ইউনূস সরকার




নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: তাঁর নেতৃত্বেই শুরু হয়েছিল স্বাধীনতার যুদ্ধ। খুনি-ধর্ষক পাকিস্তানিদের হাত থেকে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছিলেন মুক্তিযোদ্ধারা। গোটা বিশ্ব তাঁকে চেনে বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি হিসাবে। অথচ এবার সেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিল মোল্লা মুহাম্মদ ইউনূস সরকার। শুধু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবই নয়, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় অস্থায়ী মুজিবনগর সরকার গঠন করে যারা পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালনা করেছিলেন সেই জাতীয় চার নেতা তাজউদ্দিন আহমেদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী ও এইচএস কামরুজ্জামানেরও মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি কাড়া হচ্ছে। এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দোসর হিসাবে কাজ করা আল বদরের নেতা তথা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম। তাঁর দাবি, ‘বঙ্গবন্ধু-সহ জাতীয় চার নেতার মুক্তিযুদ্ধে কোনও অবদান নেই। পাকিস্তান ভেঙে তাঁরা চরম অপরাধ করেছিলেন। পাঁচ জনকে দেশদ্রোহী ঘোষণা করা উচিত। আমরা তা করছি না।’

গত ৫ অগস্ট সেনা বিদ্রোহের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন ত‍ৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাজনৈতিক পালাবদলের পরেই ক্ষমতা দখল করেছিল পাকিস্তানি গুপ্তচচর সংস্থা আইএসআইয়ের পোষ্যভৃত্য তথা রাজাকার বাহিনীর অন্যতম নেতা মুহাম্মদ ইউনূস। ক্ষমতায় আসীন হয়েই বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর  রহমানের নাম ও মুক্তিযুদ্ধকে মুছে ফেলতে আদাজল খেয়ে নামেন। ঢাকা স্টেডিয়াম-সহ একাধিক প্রতিষ্ঠান থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলা হয়েছে ইতিমধ্যেই। এমনকি ‘জয় বাংলা’ শ্লোগান নিষিদ্ধ হয়েছে। দেশ জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বঙ্গবন্ধু-সহ মুক্তিযুদ্ধের যাবতীয় ম্যুরালও ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই নির্দেশ কার্যকরও হয়েছে সিংহভাগ ক্ষেত্রে।

মুক্তিযুদ্ধ এবং বঙ্গবন্ধুকে বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে মুছে ফেলতে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রকের উপদেষ্টা  ফারুখ-ই আজমকে। যিনি নিজে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে পাক জল্লাদদের দোসর ছিলেন। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের বাদ দিয়ে রাজাকার ও আলবদরদের মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে স্বীকৃতি দিতে উঠে পড়ে লেগেছেন তিনি। তারই অংশ হিসাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা এবং ১৯৭০ সালের নির্বাচনে জয়ী সাংসদদের মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে স্বীকৃতি বাতিল করা হয়েছে। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) আইন সংশোধনের চূড়ান্ত খসড়ায় ওই প্রস্তাব রাখা হয়েছে। গত ১০ মার্চ এ-সংক্রান্ত কার্যপত্রে (খসড়াসহ অন্যান্য বিষয়) স্বাক্ষর করেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা।

বিষয়টি জানাজানি হতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। বঙ্গবন্ধু-সহ জাতীয় চচার নেতার মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে স্বীকৃতি বাতিল নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন সর্বজন শ্রদ্ধেয় অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। তাঁর কথায়,  ‘আমরা ইতিহাসের সত্যটা জানি। কোন্ও আইন বদল করে কারও অবদান বদলে দেওয়া যাবে না। এটি করার প্রয়োজন নেই। এগুলো অপ্রয়োজনীয় কাজ, অপচয়মূলক কাজ। যারা মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন, যারা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃত, তাদের পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তোলা ঠিক না। মুক্তিযুদ্ধের প্রতিষ্ঠিত সত্যকে অস্বীকার না করে বরং দেশের অর্থনীতির দিকে অন্তর্বর্তী সরকারের নজর দেওয়া উচিত।’




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

‘ধর্মবিরোধী’ অভিযোগে গ্রন্থাগার থেকে নজরুল-রবীন্দ্রনাথের বই লুট করল মৌলবাদীরা

করমর্দনের জন্য হাত বাড়ালেন মোল্লা ইউনূস, পাত্তাই দিলেন না ট্রাম্প

বদলের বাংলাদেশে ধর্ষণের শিকার জুলাই আন্দোলনের শহিদের কন্যার আত্মহত্যা

প্রথমবার ঢাকাই সিরিজে শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়, সঙ্গী চঞ্চল চৌধুরী

সীমান্তে যুদ্ধের পদধ্বনি, ঢাকা সফর বাতিল পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রীর

বাবাকে দিয়ে তোলা আদায়, কীর্তি ফাঁস হতেই ক্ষমা চাইলেন ইউনূসের যুব উপদেষ্টা

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর