এই মুহূর্তে




ধারাবাহিক বিস্ফোরণ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার পরেই ঢাকায় জারি হাই অ্যালার্ট

নিজস্ব প্রতিনিধি: উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে ঢাকা। সোমবার বাংলাদেশের রাজধানীর একাধিক স্থানে একযোগে ককটেল বিস্ফোরণ হয়, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। ফলে ঢাকা জুড়ে ছড়িয়েছে উদ্বেগ ও আতঙ্ক। ১০ তারিখ সারাদিনে কমপক্ষে ১১ টি স্থানে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল তিনটি বাসে। বড় ধরনের হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে শহরে নিরাপত্তা বজায় রাখতে ইতিমধ্যেই তৎপর হয়েছে পুলিশ।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ এবং র‍্যাব যৌথভাবে কাজ শুরু করেছে। ধর্মীয় সম্প্রীতি ক্ষুন্ন যাতে না হয় সেই চেষ্টা চলছে। কোথাও যদি এমন কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে তবে সঙ্গে সঙ্গে তা কঠোরভাবে দমন করা হবে । পুলিশের নির্দেশে আগামী ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত রাজধানীর সব থানাকে টহল, নজরদারি এবং প্রতিরোধ ব্যবস্থা বৃদ্ধি করতে বলা হয়েছে

ধারাবাহিক বিস্ফোরণের প্রথমটি ঘটে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে। ওই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ডঃ মহম্মদ ইউনুসের সংযোগ রয়েছে। মীরপুর মডেল থানার ওসি সাজ্জাদ রোমান জানান মোটরসাইকেলে এসে দুই ব্যক্তি ভবনের সামনে ককটেল নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায়। সেই সময়ে মহম্মদপুরের মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ উপদেষ্টার মালিকানাধীন এক প্রতিষ্ঠানে মোটরসাইকেল থেকে ককটেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টার এবং ইবনে সিনা হাসপাতালের দিকে মোট চারটি ককটেল নিক্ষেপের ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে।

সন্ধ্যায় মৌচাক, আগারগাঁওয়ের বাংলাদেশ বেতার, খিলগাঁও ফ্লাইওভার এলাকা এবং মীরপুর শাহ আলী মার্কেট সংলগ্ন জায়গায় বিস্ফোরণ ঘটে। রাত দশটার দিকে ফ্লাইওভার থেকে আর একটি ককটেল নিক্ষেপ হওয়ার তথ্য পাওয়া যায়। দিনের শেষ বিস্ফোরণটি হয় রাত ১১ টা ১০ মিনিটে এনসিপি কার্যালয়ের সামনে। এতে এক পথচারী সামান্য আহত হন। উদ্ধার হয় একটি না ফাটা বোমা। বিস্ফোরণের পর স্থানীয়রা বাইক নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় দুজনকে ধাওয়া করে ধরে ফেলে।  আরও তিনজনকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে আগের দিন কাকরাইলের সেন্ট মেরিজ ক্যাথিড্রালে ও মহম্মদপুরের সেন্ট জোসেফ স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষকদের বাসভবনের সামনে ককটেল হামলার ঘটনা ঘটে। এছাড়া ভোরে শাহজাদপুর এবং মেরুলবাড্ডায় দুটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে ধানমন্ডি ল্যাব এইড হাসপাতালের সামনে আরও একটি বাসে আগুন লাগানো হয়। বর্তমানে ডিএমপি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল এলাকার আশেপাশে সব ধরনের জনসমাবেশ বর্তমানে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সরকারি এবং জনপ্রতিষ্ঠানগুলিতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

বিস্ফোরণ ঘটানোর দায় চাপানো হয়েছে আওয়ামী লীগের কর্মীদের দিকে। ডিবি প্রধান শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের কিছু কর্মী প্রকাশ্যে বলে ফেলেছে তারা তাদের নেতাদের জন্য যে কোনও কিছুই করতে পারে। এই বক্তব্যের পরই সোমবার পৃথক অভিযান চালিয়ে ১৫ জনেরও বেশি ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ককটেল হামলায় যুক্ত থাকার অভিযোগে ২৮ বছর বয়সী এক ছাত্রলীগ সদস্যকেও ডিএমপি আটক করেছে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

অশান্তির আগুনে জ্বলছে ঢাকা, এবার আওয়ামী লীগের দফতরে আগুন ধরিয়ে দিল এনসিপি সন্ত্রাসীরা

জুলাই গণহত্যা মামলায় শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা হবে সোমবার

‘শেখ হাসিনাকে মুখ বন্ধ রাখতে বলুন’, ঢাকায় ভারতীয় দূতকে ডেকে ধমক ইউনূস সরকারের  

বাংলাদেশের মাটিতে ৬০ জঙ্গি শিবির চালাচ্ছেন মাসুদ আজহার, অর্থ জোগাচ্ছেন ইউনূসের ছোট কন্যা

গার্হস্থ্য সহিংসতার অভিযোগ, হিরো আলমের বিরুদ্ধে ফের গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

ঢাকায় পর পর বাসে আগুন, নাশকতার আশঙ্কায়  সব বিমানবন্দরে ‘হাই অ্যালার্ট’

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ