নিজস্ব প্রতিনিধি: অনেক ঝড়-ঝাপ্টার পর আগামী ১৮ নভেম্বর বাংলাদেশে যাচ্ছেন বলিউডের ‘আইটেম ক্যুইন’ নোরা ফাতেহি। তবে তাঁর ঢাকা যাওয়া নিয়ে বহুদিন ধরেই চলছিল একাধিক টানাপোড়েন। প্রথমে বাংলাদেশ সরকার নোরাকে ঢাকায় যাওয়ার অনুমতি না দিলেও পরে একাধিক শর্তাবলী প্রয়োগ করে বাংলাদেশ যাওয়ার অনুমতি পান নোরা। মাত্র অল্প কয়েক বছরেই বলিউডে বেশ রাজত্ব তৈরি করে নিয়েছেন তিনি, সৌজন্যে তাঁর ডান্স। তাঁর অসাধারণ বেলি নাচ। তবে নোরা ঢাকায় গিয়ে ডকুমেন্টারি শ্যুট ছাড়া আর কিছুতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশ সরকার। প্রথমবারের জন্যে ঢাকায় যাওয়ার অনুমতি পেয়েছেন নোরা।
তবে পাঁচটি শর্ত দিয়েও শান্তি নেই। এবার জারি হল, আইন অনুযায়ী নোরাকে ঢাকায় অনুষ্ঠান করার জন্যে প্রাপ্য আয়ের উৎস থেকে ৩০ শতাংশ কর বাংলাদেশ রাজস্ব দফতরকে দিতে হবে। আর এই কর প্রদানের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে খুব শীঘ্রই নিশ্চিত করতে বলেছেন বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এ বিষয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন, এনবিআরের সদস্য তথা জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, সুরক্ষা সেবা বিভাগ, তথ্য মন্ত্রণালয় ও সংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ঢাকার চেয়ারম্যানের দফতরের একান্ত সচিব, ডিএমপি কমিশনার এবং হজরত শাহজালাল।
যে চিঠিতে উল্লেখ রয়েছে যে, বিদেশি শিল্পীদের বাংলাদেশে যেকোনো ধরণের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য আয়োজকদের আয়কর পরিশোধের বাধ্যবাধ্যকতা রয়েছে। আগামী ১৮ নভেম্বর ঢাকায় একটি ডকুমেন্টারির শুটিংয়ে অংশগ্রহণ করতে ঢাকায় যাচ্ছেন নোরা। তথ্য মন্ত্রণালয় পাঁচ শর্তের বিনিময়ে বাংলাদেশে আসার অনুমতি দিয়েছেন নোরাকে। এর আগে ডব্লিউ এলসির পক্ষ থেকে নোরা ফাতেহিকে বাংলাদেশে আনতে আবেদন জানিয়েছিলেন ওই সংস্থার সভাপতি ইশরাত জাহান মারিয়া। যেখানে ‘উইমেন এমপাওয়ারমেন্ট ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক একটি ডকুমেন্টারিতে অংশ নেবেন নোরা।
যে পাঁচটি শর্ত নোরাকে দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে, নোরা ১৮ নভেম্বর যাতায়াত সময় ব্যতীত মাত্র একদিন বাংলাদেশে অবস্থান করতে পারবেন। এমনকী ডকুমেন্টারির শুটিংয়ের বাইরে আর কিছুতে তিনি অংশ নিতে পারবে না। অভিনেত্রীর জন্য যথানিয়মে ভারতে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন/ উপহাইকমিশন থেকে ভিসা সংগ্রহ করতে হবে। বাংলাদেশ সরকারের প্রাপ্য অগ্রিম করের প্রমাণ ডকুমেন্টারির সেন্সরের সময় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডে প্রদর্শিত করতে হবে। এই আয়োজনে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে কোনো অর্থ প্রদান করা হবে না এবং কোনো শর্ত লঙ্ঘন করা যাবে না।