নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: পড়ুয়াদের মাদকমুক্ত রাখতে কড়া পদক্ষেপের পথে হাঁটছে বাংলাদেশ সরকার (Bangladesh Government)। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির (University Admission) ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক হচ্ছে ডোপ টেস্ট। অর্থাৎ মাদকসেবী নয় প্রমাণ করতে পারলেই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ মিলবে। না হলে উচ্চ শিক্ষার স্বপ্ন থমকে যাবে। এর জন্য প্রয়োজনীয় আইন সংশোধন করা হচ্ছে। রবিবার সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Home Minister) আসাদুজ্জামান খান কামাল (Asaduzzaman Khan Kamal)। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে শিক্ষামহলের একাংশ। অবশ্য অন্য অংশের বক্তব্য, এর ফলে উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তানদের পড়াশোনার জন্য বিদেশে পাড়ি দেওয়ার প্রবণতা বাড়বে।
গত কয়েক দশক ধরেই বাংলাদেশের তরুণ ও যুব প্রজন্মের মধ্যে মাদকগ্রহণের প্রবনতা ব্যাপক হারে বেড়েছে। যত দিন যাচ্ছে ততই দেশে মাদক ব্যবসার রমরমা বাড়ছে। ইতিমধ্যেই মাদক ব্যবসা নির্মূল করতে একাধিক উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানিয়েছে শেখ হাসিনা (Sk Hasina) প্রশাসন। সরকারি কর্মচারী ও পুলিশ কর্মীদের ডোপ টেস্টের কথা আগেই ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু ঘোষণাই সার থেকে গিয়েছে। পরিকাঠামো না থাকায় ওই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়নি।
এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে দেশজুড়ে সরকারি চাকরি থেকে শুরু করে নানা ক্ষেত্রে ডোপ টেস্টের সিদ্ধান্ত সঠিকভাবে কার্যকর করতে না পারার কতা মেনে নিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Home Minister) আসাদুজ্জামান খান (Asaduzzaman Khan)। তাঁর কথায়, ‘ব্যাপকভাবে ডোপ টেস্ট (Dope Test) করার মতো পরিকাঠামো (Structure) এখনও তৈরি করা যাযনি। সেই চেষ্টা চলছি। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির (University Admission) ক্ষেত্রেও ডোপ টেস্ট (Dope Test) চালু করা হচ্ছে। শিগগিরই এ সংক্রান্ত আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে। মেডিকেল টেস্টের মধ্যে ডোপ টেস্টও রাখা হচ্ছে।’
এই মুহূর্তে
