নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: কখনও মসজিদে ইমামের দায়িত্ব পালন করেছেন। আবার কখনও ভুয়ো চিকিৎসক সেজে এইডসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা করতেন। এভাবেই চলছিল প্রায় দুই যুগ। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। শনিবার রাতে র্যাবের গোয়েন্দাদের জালে ধরা পড়লেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে (Bangladesh Prime Minister Sk. Hasina) খুনের চেষ্টার অভিযোগে সাজাপ্রাপ্ত ফাঁসির আসামি শেখ মোহাম্মদ এনামুল হক (Sk. Mohammad Enamul Haque)। রাজধানীর উত্তরার এক গোপন ডেরা থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে র্যাবের গোয়েন্দারা (RAB)। ধৃত এনামুল নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন (Ban Militant Organization) হরকাতুল জিহাদ বাংলাদেশের (Harkatul zihad Bangladesh) অন্যতম শীর্ষ নেতা।
২২ বছর আগে ২০০০ সালে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদি বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু কন্যার জনসভার অদূরে ৭৬ কেজি ওজনের বোমা পুঁতে রাখা হয়। যদিও সেই বোমা বিস্ফোরণের আগেই উদ্ধার করে পুলিশ। প্রাণে বেঁচে যান প্রধানমন্ত্রী। ঘটনার পরেই গা ঢাকা দিয়েছিল ষড়যন্ত্রের অন্যতম হোতা শেখ এনামুল হক। দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে গত বছরের ২৩ মার্চ বিচারক প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অপরাধে শেখ এনামুল সহ ১৪ জঙ্গিকে ফায়ারিং স্কোয়াডে দাঁড় করিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার নির্দেশ দেন।
রবিবার দুপুরে সাংবাদিক সম্মেলনে র্যাবের মুখপাত্র খন্দকার আল মঈন জানান, ঘটনার পরেই গাজীপুরে গা ঢাকা দিয়েছিল শেখ এনামুল। স্থানীয় একটি মসজিদে ইমামতি শুরু করে। ভুয়ো নাম ব্যবহার করে জাতীয় পরিচয়পত্র বের করে। পরে ক্যানসার নিরাময় কেন্দ্র নামে একটি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান খুলে ভেষজ চিকিৎসা শুরু করেন। এইডসে আক্রান্ত রোগীদের সম্পূর্ণ সারিয়ে দিতে পারেন বলে দাবি করেন।