এই মুহূর্তে




১৬ বছর ধরে পলাতক দুধর্ষ জঙ্গি নেতাকে গ্রেফতার করল র‍্যাব




নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: বড়সড় সাফল্য পেল র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র‍্যাব)। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে খুনের চেষ্টা ও রমনা বটমূলে হামলার ঘটনায় ফাঁসির সাজা পাওয়া কুখ্যাত জঙ্গিনেতা  আব্দুল হাইকে গ্রেফতার করল র‍্যাব। টানা ১৬ বছর ধরে আত্মগোপনে থাকা নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ বাংলাদেশ’ (হুজি-বি)-এর প্রতিষ্ঠাতা আমির হাইকে বুধবার রাতে নারায়গঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নব্বইয়ের দশকে আফগানিস্তানে মুজাহিদ হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধেও অংশ নিয়েছিলেন। আফগানিস্তান থেকে ফিরে ১৯৯১ সালে হুজি-বি প্রতিষ্ঠা করেন।

বৃহস্পতিবার র‍্যাবের মুখপাত্র খন্দকার আল মঈন সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, আশির দশকে বেআইনিভাবে ভারতের উত্তরপ্রদেশে গিয়ে দেওবন্দের মাদ্রাসায় ধর্মীয় শিক্ষা নিয়েছিলেন হাই। ভারতে পাসপোর্ট বানিয়ে বাংলাদেশে ফিরে এসে হুজি-বি প্রতিষ্ঠার পরে দেশজুড়ে নিজের সংগঠনকে ছড়িয়ে দিতে বেশ কিছু পদক্ষেপ করেন। নাশকতামূলক কাজকর্মের প্রশিক্ষণ দিতে ১৯৯২ সালে কক্সবাজারের উখিয়ায় বিশেষ প্রশিক্ষণ শিবির চালু করেন। ওই প্রশিক্ষণ শিবিরের অস্ত্র আসত পড়শি দেশ ভারত থেকে। ওই দেশের এক জঙ্গি নেতা অস্ত্র সরবরাহ করতেন। আব্দুল হাইসহ তিনজন সেখানে প্রশিক্ষণ দিতেন। প্রায় ৪ বছর নিরবিচ্ছিন্নভাবে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার পর ১৯৯৬ সালে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ওই প্রশিক্ষণ শিবির থেকে ৪১ জন জঙ্গিকে পাকড়াও করা হয়।

উখিয়ার প্রশিক্ষণ শিবির বন্ধ হয়ে যাওয়ার বদলা নিতে এর পর একের পর এক নাশকতামূলক কাজকর্মের ছক কষেন। ২০০০ সালে গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ায় বোমা পুঁতে রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা চালান। পরের বছর ২০০১ সালে রমনা বটমূলে নববর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানে বোমা হামলা চালানো হয় তার নির্দেশে। ২০০৪ সালে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে এবং  ২০০৫ সালে হবিগঞ্জে গ্রেনেড হামলার মূলচক্রী ছিলেন।

র‍্যাব মুখপাত্র জানান, ধৃত হাইয়ের বিরুদ্ধে মোট ১৩টি মামলা ঝুলছে। তার মধ্যে সাতটিতে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। দুটি মামলায় মৃত্যুদণ্ড ও অন্য দুই মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়েছে। ২০০৪ সালের ২১ অগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে গ্রেনেড হামলায় ২৪ জন মারা গিয়েছিলেন। গুরুতর জখম হয়েছিলেন তিন শতাধিক। আর নিহত ও প্রায় তিন শতাধিক গুরুতর আহত হন। ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদরে বৈদ্যের বাজারে গ্রেনেড হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়াসহ পাঁচ জন। আর রমনা বটমূলে বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে বোমা হামলায় ১০ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন।  

২০০৬ সালের পর মুফতি আব্দুল হাই আত্মগোপনে চলে যান। কিছুদিন কুমিল্লার গৌরিপুরে শ্বশুরবাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। পরে নারায়ণগঞ্জে চলে আসেন। স্থানীয় এলাকাবাসী যেন তার পরিচয় জানতে না পারে সেজন্য তিনি ঘর থেকে খুব একটা বের হতেন না। বিধবার রাতে বিশেষ সূত্রে খবর পেয়ে ফতুল্লার ওই বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেন র‍্যাবের গোয়েন্দারা।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

বরখাস্ত হাথুরুসিংহে, লিটনদের হেড স্যারের দায়িত্বে ক্যারিবীয় ক্রিকেটার

বাংলাদেশের ফরিদপুরে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা, নিহত ৫

দিল্লির উদ্বেগ বাড়িয়ে চিনের সঙ্গে সামরিক যোগাযোগ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত ইউনূস সরকারের

দশমীতে ইছামতীর তীরে জমজমাট এক দিনের বউ মেলা, তবে নিষিদ্ধ পুরুষ ক্রেতা

Bangladesh : বাসে গ্যাস ভরার সময়ে বিস্ফোরণ, আগুনে ঝলসে মৃত্যু ৪ জনের

শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরাতে ইন্টারপোলের দ্বারস্থ ইউনূস সরকার

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর