নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: শপথ নিয়েছিলেন বিশ্বরেকর্ড তৈরির। লক্ষ্য ছিল ২৮১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য অতিক্রমের। ৮৩ কিলোমিটার যাওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়ায় মনের ইচ্ছে এ দফা পূরণ হল না। চিকিৎসার জন্য তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে।
বিশ্বরেকর্ড গড়ার স্বপ্ন নিয়ে সুরমায় নামেন একুশের পদকপ্রাপ্ত বীরযোদ্ধা ক্ষিতীন্দ্র চন্দ্র বৈশ্য। সোমবার সকাল ছয়টা থেকে শুরু হয় সাঁতার কাটা। মঙ্গলবার বেলা পৌনে দুটোর দিকে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার হরিণাপাটি এলাকায় পৌঁছলে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। শুরু হয় শ্বাসকষ্ট। এই অবস্থায় সাঁতার কাটলে বিপদ ঘটবে সেটা বুঝতে পেরে তিনি নিজে, আয়োজক এবং চিকিৎসকেরা সাঁতার শেষ বলে ঘোষণা করেন।
ক্ষিতীন্দ্র চন্দ্র বৈশ্যের স্বপ্নপূরণের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সিলেট জেলা ইউনিট। বিশ্বনাথ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জুনিয়র কনসালট্যান্ট ও ক্ষিতীন্দ্রের সঙ্গে থাকা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিনিধি তপজিত ভট্টাচার্য বলেন, ঠান্ডাজনিত কারণে শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্ষিতীন্দ্রের। পরে আয়োজক সংগঠন ও তিনি সাঁতার শেষ করার ঘোষণা করলে তাঁকে নৌকায় তুলে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।দেওয়া হয় অক্সিজেন। অক্সিজেন দেওয়ায় শারীরিক অবস্থার আগের থেকে অনেকটা উন্নত হয়।
আজ সকাল আটটার দিকে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার সুরমা নদীর অংশে পৌঁছালে বৃষ্টি ও ঝড়ের মুখে পড়েন ক্ষিতীন্দ্র চন্দ্র বৈশ্য। সাঁতার কাটতে সমস্যা হচ্ছিল। বৃষ্টি থামলে তিনি আবার সাঁতার শুরু করেন। বেলা পৌনে দুটো নাগাদ তাঁর শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে তিনি সাঁতার শেষ বলে ঘোষণা করেন।