নিজস্ব প্রতিনিধি: চলতি সপ্তাহের প্রথমদিকেই রাজ্যের স্কুলে স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতির(School Recruitment Scam) ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টের(Calcutta High Court) নির্দেশে চাকরি গিয়েছে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা ও স্কুলকর্মীদের। সেই নির্দেশে আদালত জানিয়েছিল, এই চাকরিহারাদের দিয়ে কখনই ভোটের ডিউটি(Election Duty) করানো যাবে না। কিন্তু এদিন দেখা যাচ্ছে, বহু বুথে অনেক চাকরি হারারা(Job Loosers) ভোটের ডিউটি দিচ্ছেন। এদিন অর্থাৎ ২৬ এপ্রিল দেশের মোট ৮৭টি লোকসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে। তার মধ্যে আছে বাংলার ৩টি কেন্দ্রও। এই ৩ কেন্দ্র হল – দার্জিলিং, রায়গঞ্জ ও বালুরঘাট। এই ৩ কেন্দ্রেই দেখা যাচ্ছে বুথে বুথে কয়েক হাজার ভোটকর্মী রয়েছেন এমন যারা আদালতের নির্দেশে চাকরি হারিয়েছেন। এদের দাবি, আদালতের নির্দেশের পরেও তাঁরা কমিশন থেকে এমন কোনও নোটিস পাননি, যে তাঁদের ভোটের ডিউটি বাতিল করা হচ্ছে। তাই তাঁরা ডিউটি দিতে বাধ্য হচ্ছেন। প্রাথমিক ভাবে কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোটের একেবারে মুখে কলকাতা হাইকোর্টের রায় ঘোষণা হওয়ায় কমিশন(ECI) শেষপর্যন্ত ওই ভোটকর্মীদের কাজে লাগাতে বাধ্য হয়েছে।
চাকরি হারানো সত্ত্বেও চাকরিহারারা এদিন কিন্তু ধন্যবাদই দিচ্ছে রাজ্য সরকারকে। তাঁরা খুশি হয়েছেন, রাজ্য সরকার তাঁদের হয়ে সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে বলে। তাঁরা খুশি হয়েছেন, রাজ্য সরকার তাঁদের বেতন প্রদানের সিদ্ধান্ত বজায় রাখায়। যে ভাবে রাজ্য সরকার জানিয়েছে যে, সুপ্রিম রায় না আসা পর্যন্ত চাকরিহারাদের বেতবন প্রদান বজায় রাখা হবে তা তাঁদের মনে বড় ভরসা যোগাচ্ছে। উল্লেখ্য, কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের দরুন যে ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মী চাকরি হারিয়েছেন তাঁদের মধ্যে প্রায় ১৮ হাজার মানুষের ভোটে ডিউটি পড়ার কথা। সাধারণত ভোটের কর্মীর অভাব পূরণের ক্ষেত্রে কমিশন রিজার্ভ থাকা কর্মীদের মধ্যে থেকেই কাউকে ডিউটি দেন। কিন্তু প্রায় ১৮ হাজার কর্মীর অভাব পূরণ যে রিজার্ভ থাকা কর্মী দিয়ে সম্ভব নয়, সেটা বুঝেই সম্ভবত কমিশন আদালতের নির্দেশের পরেও বুথে বুথে চাকরি হারাদের ডিউটিতে রেখেছে। এই ডিউটিতে থাকার ফলে চাকরিহারাদেরও মানসিক ভাবে চাঙ্গা থাকতে হচ্ছে, যদিও তাঁদের মন খারাপ চাকরি চলে যাওয়ার জন্য।