নিজস্ব প্রতিনিধি, হায়দরাবাদ: অস্তিত্ব রক্ষার ম্যাচে খানিকটা হলেও ঘুরে দাঁড়াল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। রজত পাতিদার ও বিরাট কোহলির চওড়া ব্যাটে বৃহস্পতিবার রাতে হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করে ৭ উইকেট হারিয়ে ২০৬ রান তুলল ফ্যাপ ডুপ্লেসি বাহিনী। হায়দরাবাদের পক্ষে জয়দেব উনাদকট ৩০ রানে তিন উইকেট নিয়েছেন।
রাজীব গান্ধি স্টেডিয়ামে এদিন টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বেঙ্গালুরুর অধিনায়ক ফ্যাপ ডুপ্লেসি। প্রথমে ব্যাট করে বড় রানের ইনিংস গড়ে হায়দরাবাদকে চাপে ফেলাই লক্ষ্য ছিল তাঁর। শুরু থেকেই চালিয়ে খেলতে থাকেন বেঙ্গালুরুর দুই ওপেনার বিরাট কোহলি ও ডুপ্লেসি। যদিও দুজনে বড় রানের পার্টনারশিপ গড়তে পারেননি। বেঙ্গালুরু অধিনায়ক ডুপ্লেসিকে (১২ বলে ২৫) জুটি ভাঙেন টি নটরাজন। এর পরে দ্রুত ফিরে যান উইল জ্যাকসও। ফলে খানিকটা বিপাকে পড়ে যায় বেঙ্গালুরু। তৃতীয় উইকেটে জুটি বেঁধে সেই বিপর্যয় থেকে দলকে টেনে তোলেন বিরাট ও রজত পাতিদার। দুজনে পাল্টা আক্রমণের পথে গিয়ে হায়দরাবাদের বোলারদের মনোবল ভাঙার চেষ্টা চালান। বিরাটের চেয়েও বেশি আগ্রাসী ছিলেন পাতিদার। মাত্র ১৯ বলে ২টি চার ও পাঁচটি ছক্কার সাহায্যে অর্ধশতরান করেন তিনি। ১৩তম ওভারে বল করতে এসে রজতকে আউ করে ৬৫ রানের জুটি ভাঙেন জয়দেব উনাদকট।
রজত ফেরার পরে ৩৭ বলে নিজের অর্ধশতরান পূর্ণ করেন বিরাট কোহলিও। যে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে তিনি ব্যাটিং করছিলেন তাতে মনে হচ্ছিল ফের শতরানের ইনিংস খেলবেন তিনি। কিন্তু তা হয়নি। নিজের পরের ওভারে বল করতে এসে বিরাটকে (৪২ বলে ৫১) ফিরিয়ে দেন উনাদকট। এর পরে মহীপাল লোমরুরকে নিয়ে দলকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যান অজি অলরাউন্ডার ক্যামেরন গ্রিন। ১৭তম ওভারে বল করতে এসে লোমরুরকে (৭) সাজঘরের পথ ধরান উনাদকট। যদিও তাতে খুব একটা সমস্যায় পড়তে হয়নি বেঙ্গালুরুকে। কেননা ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালাতে শুরু করেন গ্রিন। সাত নম্বরে নামা দীনেশ কার্তিক ৬ বলে ১১ রান করে আউট হয়ে যান। আট নম্বরে নেমে স্বপ্নিল সিং১১ রান করে শেষ বলে আউট হয়ে যান। শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেট হারিয়ে ২০৬ রান তোলে বেঙ্গালুরু। ২০ বলে ৩৭ রান করে অপরাজিত থাকেন গ্রিন।