এই মুহূর্তে




সেভেন সিস্টার্সে হামলা চালাতে বাংলাদেশি মেয়েদের নিয়ে ফিঁদায়ে বাহিনী মাসুদ আজহারের জয়েশের

নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে নাশকতা চালাতে বাংলাদেশি মেয়েদের নিয়ে ফিঁদায়ে বাহিনী গড়ল পাক সন্ত্রাসী মাসুদ আজহারের জঙ্গি সংগঠন জয়েশ-ই মহম্মদ। ওই ফিঁদায়ে বাহিনীতে রয়েছেন প্রায় ৭০ জন মহিলা জঙ্গি। তাদের নেতৃত্বে রয়েছেন জামায়াতে ইসলামী নেতাদের যৌনদাসী হিসাবে পরিচিত শামান্তা শারমিন, ফাতিমা তাসনিমা জুমা ও রুকাইয়া জাহান চমক। চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে ওই ফিঁদায়ে বাহিনীর সদস্যদের প্রশিক্ষণ চলছে।

সূত্রের খবর, গত জুলাইতে জামায়াতে ইসলামীর মহিলা শাখা থেকে ৬০ জনকে বেছে নেওয়া হয়েছে জঙ্গি প্রশিক্ষণের জন্য। তাদের মধ্যে ৪৪ জন জামায়াতের রোকন বা সদস্য। মূলত ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠরত উগ্র ধর্মান্ধতায় বিশ্বাসীদের জঙ্গি প্রশিক্ষণের জন্য বাছাই করা হয়েছে। আত্মঘাতী বাহিনীতে যোগ দেওয়ার জন্য জামায়াতে ইসলামী নিয়ন্ত্রিত ইসলামী ব্যাঙ্ক ও ইসলামী ইনস্যুরেন্স সংস্থার তরফে প্রত্যেকের নামে ১০ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট রাখা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ফিঁদায়ে বাহিনীর সদস্যদের ভারতের উত্তর-পূর্ব ভারতের সাত রাজ্যের আঞ্চলিক ভাষা শেখানোর পাশাপাশি ভৌগোলিক আবস্থান নিয়ে বিশেষ ধারণা দেওয়া হয়। বাংলা মোটরে জয়েশের বাংলাদেশি শাখা ইনকিলাব মঞ্চের কার্যালয়ে ওই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভাষা শিক্ষার পরে অস্ত্র প্রশিক্ষণের জন্য ফিঁদায়ে বাহিনীর সদস্যদের দুটি ভাগে ভাগ করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও ময়মনসিংহে পাঠানো হয়। সেখানে জয়েশের অস্ত্র প্রশিক্ষণ শিবিরে স্নাইপার রাইফেল, একে-৪৭, একে-৫৬ এর মতো অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার শেখানো হচ্ছে। সেই সঙ্গে মর্টার চালানোরও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। গ্রেনেড ছোড়াও রপ্ত করানো হয়েছে।

বাংলাদেশ সিআইলির এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ফিঁদায়ে বাহিনীকে তিনটি শাখায় ভাগ করা হয়েছে। একটি শাখার নেতৃত্বে রয়েছেন পাকিস্তানি মদতপুষ্ট জাতীয় নাগরিক পার্টির নেত্রী সামান্তা শারমিন, একটি শাখার নেতৃত্বে জয়েশের সহযোগী সংগঠন ইনকিলাব মঞ্চের নেত্রী তথা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক ফাতিমা তাসনিম জুমা এবং অন্য শাখার নেতৃত্বে রয়েছেন মডেল তথা বিখ্যাত কলগার্ল রুকাইয়া জাহান চমক। এর মধ্যে জুমা বিখ্যাত রোহিঙা সন্ত্রাসী সিরাজ মাস্টারের কন্যা। মায়ানমার থেকে অনুপ্রবেশ করে মহেশখালীতে ডেরা বেঁধেছে সিরাজ মাস্টার। মায়ানমার হয়ে মণিপুর-নাগাল্যান্ডে প্রবেশ সংক্রান্ত সব তথ্য তার নখদর্পণে।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৮ অগস্ট ক্ষমতায় আসীন হওয়ার পরেই পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠনের মদরে সেভেন সিস্টার্সে অশান্তি পাকাতে কলকাঠি নাড়তে শুরু করেছে মোল্লা ইউনূস। এক সময়ে আলফা সহ উত্তর-পূর্বের জঙ্গি সংগঠনগুলিকে অস্ত্র সরবরাহকারী খালেদা জমানার স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লু‍ৎফুজ্জামান বাবর ও ‘আমার দেশ’ সম্পাদক তথা বাংলাদেশে লস্কর –ই তৈয়বার সমন্বয়ক মাহমুদুর রহমানকে জেল থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। মুক্তি পাওয়ার পরেই দুজনে উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির জঙ্গি নেতাদের সঙ্গে ফের সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন। নাশকতা চালাতে তাদের সাহায্য নিচ্ছেন। প্রসঙ্গত বুধবারই (১৭ ডিসেম্বর) সেভেন সিস্টার্স বিচ্ছিন্ন করার হুমকি নিয়ে দিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রিয়াজ মাহমুদুল্লাহকে ডেকে কড়কে দিয়েছেন ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের আধিকারিকরা।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

‘নির্বাচন নিয়ে জ্ঞান দিতে আসবেন না’, দিল্লিকে হুঁশিয়ারি ইউনূসের বিদেশ উপদেষ্টার

বাংলাদেশি জঙ্গিদের হামলার আশঙ্কায় বন্ধ ঢাকার ভারতীয় ভিসা সেন্টার

সেভেন সিস্টার্স বিচ্ছিন্ন করার হুমকি, বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে তলব বিদেশ মন্ত্রকের

‘একাত্তরে গণহত্যা চালিয়েছিলেন মুক্তিযোদ্ধারা’, পাক হানাদারদের আড়াল করতে নয়া তত্ত্ব জামায়াতের

‘প্রাণ বাঁচাতে’ ভোটের ময়দান থেকে সরে দাঁড়ালেন নারায়ণগঞ্জের বিএনপি প্রার্থী, জোর ধাক্কা খালেদার দলের

‘মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মৃত সোহরাওয়ার্দি-ফজলুল হক’, নয়া ইতিহাস পাঠ মোল্লা ইউনূসের

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ