নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: বাংলাদেশে শাকিব খানকে নিয়ে চলছে ধুন্ধুমার কাণ্ড। বিতর্কের এপিঠ-ওপিঠ শাকিব খান। গেল সপ্তাহেই শাকিবের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন ‘অপারেশন অগ্নিপথ’-এর প্রযোজক। সাত বছর আগে শুটিং হওয়া ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ ছবি ঘিরে বিতর্ক, শাকিব খানের বিরুদ্ধে চুক্তিভঙ্গের অভিযোগ, শুটিং না হওয়ায় ক্ষতিপূরণ দাবি, মহিলা সহ-প্রযোজক কে ‘ধর্ষণের’ অভিযোগ এনে চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট সংগঠনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন ছবিটির প্রযোজক রহমত উল্লাহ। এই ইস্যু নিয়ে সপ্তাহ খানেক ধরেই ঢালিউড সরগরম। ইতিমধ্যেই শাকিব সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি পাল্টা প্রযোজকের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে থানায় দ্বারস্থ হয়েছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত শাকিবের মামলা নেয়নি পুলিশ। শাকিবের দাবি, অপারেশন অগ্নিপথের প্রযোজক রহমত উল্লাহ একেবারেই নয়। এই ঘটনায় শাকিবের পাশেই দাঁড়িয়েছেন অভিনেতার স্ত্রী শবনম বুবলিও। ঠিক এই সময়েই অস্ট্রেলিয়া থেকে গণমাধ্যমকে ভিডিও বার্তা পাঠালেন তারকার আইনজীবী উপল আমিন।
তাঁর কথায়, অস্ট্রেলিয়ায় শাকিব খানের নামে কোন মামলা হয়নি, এমনকী শাকিব খানকে নিয়ে অষ্ট্রেলিয়ান পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারের কোন ঘটনাও ঘটেনি। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। ‘অপারেশন অগ্নিপথ’-এর প্রযোজনা সংস্থার নাম ভার্টেক্স মিডিয়া। আর ভার্টেক্স মিডিয়ার মালিকানায় আছেন মাহিন আবেদীন, রহমত উল্লাহ ও অস্ট্রেলীয় একজন নারী। উপল আমিন জানিয়েছেন, তিনি অস্ট্রেলিয়ার সিডনির সেন্ট জর্জ গোয়েন্দা শাখার কর্মকর্তা মাইকেল বাগের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। শাকিব খানের ব্যাপারে তিনি জানিয়েছেন, শাকিব খানের নামে কখনো কোনো মামলা হয়নি অস্ট্রেলিয়ায়। শাকিব খানকে কখনো কোনো ব্যাপারে গ্রেপ্তার করা হয়নি। পুলিশের তদন্ত শেষ। শাকিব খানের নামে কখনো কোনো অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট ছিল না।
ভিডিওর একপর্যায়ে উপল আমিন বলেন, ‘আমি শাকিব খানের অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত আইনজীবী আপনাদের বলতে চাইছি যে বাংলাদেশে তাঁর বিরুদ্ধে যা প্রোপাগান্ডা চলছে, আমি মনে করি, তা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যমূলক। আমার ক্লায়েন্ট শাকিব খানের জনপ্রিয়তা নষ্ট করার জন্য এই চক্রান্ত চলছে। ২০১৬ সালে ও ২০১৮ সালে অস্ট্রেলিয়ায় গিয়েছিলেন শাকিব, কিন্তু কোনোবারই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। তিনি কখনো পালিয়ে যাননি।’