এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

এক সময়ের পপ গায়ক এখন পাবলিক টয়লেটের কেয়ারটেকার

নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম সেই কবেই লিখে গিয়েছিলেন, ‘চিরদিন কাহারও সমান নাহি যায়।’ তাঁর সেই জীবনমুখী গান কয়েক যুগ পেরিয়ে আজও কতটা প্রাসঙ্গিক ফের একবার তার প্রমাণ মিলল। নব্বইয়ের দশকে বাংলা ব্যান্ড গানে ঝড় তুলেছিলেন যিনি, যাঁর গাওয়া ‘বাটালি হিলের সেই বিকেল’, ‘ছোট্ট একটি মেয়ে’, ‘সারাটি রাত’ সঙ্গীতপ্রেমীদের নাড়িয়ে দিয়েছিল, আজ ভাগ্যচক্রে তিনি একটি পাবলিক টয়লেটের কেয়ারটেকার। টয়লেটের বাইরে এক চিলতে বেঞ্চেই কাটে তাঁর রাত, দিন। মনের সুখে এখনও গান করেন তিনি, তবে গুনগুন করে। গান গাওয়া, লেখা কিংবা গিটারে সুর তোলা যেন অন্য কোনও মানুষের জীবনের গল্প।

এতক্ষণ যাঁর কথা বললাম তিনি মনসুর হাসান। এক সময়ে দেশে গানের জগতে ঝড় তোলা ‘ব্লু হারনেট’ ব্যান্ডের অন্যতম সদস্য। দীর্ঘদিন ধরেই ছিলেন লোকচক্ষুর আড়ালে। গানের জগত থেকে অনেক-অনেক দূরে। সম্প্রতি তাঁর পরিচয় জানতে পেরেই ফেসবুক লাইভে নিয়ে এসেছিলেন স্থানীয় কাউন্সিলর শৈবাল দাস। বিখ্যাত গায়কের দুর্দশার কথা জানার পরে অনেক ভক্ত ও অনুরাগী স্মৃতিকাতর হয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন।

স্মৃতি হাতড়ে ‘বাটালি হিলের সেই বিকেল’-এর গায়ক বলে যেতে লাগলেন পুরনো সেই দিনের কথা। তাঁর কথায়, ‘আশির দশকের শেষের দিকের কথা। ১৯৮৬ সালে হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজে পড়ার সময়েই গানপাগল কিছু মানুষের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল আর তখনই নতুন ব্যান্ড গড়ে তোলার ভাবনাচিন্তা ঘুরপাক খেতে থাকে মাথায়। কলেজের দ্বিতীয় বর্ষে ছয় বন্ধু মিলে গড়ে তুললাম গানের নতুন দল—ব্লু হরনেট। দলের সদস্যরা কেউ গান লেখা শুরু করেন, কেউ তৈরি করেন সুর, কেউ গাইতেন, কেউ বাজাতেন বাদ্যযন্ত্র। নব্বইয়ের শুরুতেই বের করলাম প্রথম অ্যালবাম। ১৪টি গানের মধ্যে আমারই ছিল তিনটে গান। সব গানগুলিই জনপ্রিয় হয়েছিল।’

তার পরে? স্মৃতির ঝাঁপি খুলে মনসুর বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই বড় একরোখা ছিলাম। নব্বইয়ের দশকে এরশাদবিরোধী আন্দোলনেও যুক্ত হয়ে পড়লাম। বাবা ও মা রাজনীতি করা পছন্দ করতেন না। এক সময়ে পারিবারিক ঝামেলা তীব্র হল। বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে এলাম। আর কখনও বাড়ি যাইনি। বাবা-মাও মারা গিয়েছেন। আপনজন বলে কেউ নেই।’ পথচলা যে কখনই মসৃণ ছিল না তা জানিয়ে মনসুর বলে যেতে থাকেন, ‘শহরের নানা জায়গায় ঘুরে কেটেছে দিন। রাস্তাতেই রাত কাটাতাম। কখনও এক বেলা খাবার জুটেছে। কোনও দিন তাও জোটেনি। বোহেমিয়ান জীবন ছেড়ে বছর চারেক আগে জামালখানের মোড়ে গণশৌচাগার দেখভালের কাজ শুরু করেন। মাসে নয় হাজার টাকা বেতন। ওই টাকা দিয়েই কোনওক্রমে দিন কেটে যায়।’

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

বিনা চিকি‍ৎসায় মারা গেলেন বাংলাদেশের প্রথম পতাকার নকশাকার শিবনারায়ণ দাস

পরীমণির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন গোয়েন্দা সংস্থার

টাইম ম্যাগাজিনের ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় বাংলাদেশের মেরিনা তাবাসসুম

তীব্র গরমে পুড়ছে বাংলাদেশ, ৬ জেলায় তাপমাত্রা ছাড়াল ৪০ ডিগ্রি

শাড়ি কোমরে গুঁজে হাত দিয়ে পান্তা মাখলেন জয়া

টাইগারদের স্পিন বোলিং কোচের দায়িত্বে বিশ্বকাপজয়ী লেগ স্পিনার

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর