এই মুহূর্তে




কেন স্বামী মহাদেবকে স্তন পান করিয়েছিলেন শ্রীকালী ?




নিজস্ব প্রতিনিধি : শিব হল কাল। তাঁর শক্তির নামই হল কালী। অর্থাৎ শিবের অস্ত্র ও শক্তি হল দেবী কালী। দেবী কালী হল শিবের সহধর্মিণী পার্বতীর ধ্বংসাত্মক রূপ। বলা হয় দেবী কালী হলেন স্বয়ং মহাদেবেরই ক্রোধের বহি:প্রকাশ। শাক্ত মতে কালী হল বিশ্বব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টির আদি কারণ। একবার দেবী কালী দারুক নামক অসুরকে বধ করেছিলেন। সমুদ্রমন্থনকাল হলাহল মতান্তরে কালকূট— নামক উত্থিত বিষপান করে নীলকন্ঠ হন মহাদেব। শ্রীকালী একবার দেবাদিদেবের শরীরে প্রবেশ করেন। স্বামীর কন্ঠের বিষ নিজ শরীরে ধারণ করে নীলবর্ণা হন তিনি। এরপরই মহাদেবকে নিজের দুগ্ধ পান করিয়েছিলেন তিনি। জানেন কী কেন স্বামী মহাদেবকে স্তন পান করিয়েছিলেন দেবী কালী। তবে জেনে নিন এর পেছনে কোন রহস্য লুকিয়ে আছে।

দারুক নামের এক অসুরকে বধের কথা উল্লেখ রয়েছে লিঙ্গপুরাণে। এই অসুরও তপস্যার ফলে বরলাভ করেছিল সে শুধুমাত্র নারীর হাতেই বধ হবে। তবে এই নারী কোন সাধারণ নারী হবে না। শিবেরই অংশ থাকবে যার মধ্যে। অর্থাৎ মাতৃগর্ভ থেকে জন্ম নেয় নি যে নারী। এদিকে একে একে দেবতারা পরাজিত হন দারুকের কাছে।

শেষ পর্যন্ত দেবতারা স্ত্রী রূপ ধরে বাঁচতে চেয়েছিলেন দারুকের থেকে। কিন্তু তাতেও বিশেষ লাভ হয়নি। তখন তাঁদের একমাত্র উপায় ছিল মহাদেবের শরণাপন্ন হওয়া। মহাদেব তাঁর বাম পাশে থাকা পার্বতীকে বললেন, সেই অসুরকে বধ করতে হবে। এর জন্য তিনি আহ্বান জানাচ্ছেন পার্বতীকে। তবে সকলের চোখে অন্তরালে পার্বতী সুক্ষ্ম আকার ধারণ করে ভোলানাথের ভেতরে প্রবেশ করেন। কিন্তু এই খবর কেউ জানতেন না।

আরও পড়ুন :  জানেন কী মা কালীর বাহন শেয়াল কেন ? শেয়ালের ছদ্মবেশে প্রাণিটি আসলে কে ?

কিন্তু মহাদেবের কন্ঠে বিষের প্রভাবের কারণে দেবী পার্বতী কালকণ্ঠী রূপে পরিণত হন। দেবীর গায়ের রঙ বিষের প্রভাবে ঘন নীল ও হয়ে যায়। দেবীর পরনে বাঘছাল, কণ্ঠে জড়ানো সাপ, হাতে ত্রিশূল, মস্তকে অর্ধচন্দ্র শিবের তৃতীয় নয়ন থেকে প্রকট হন তিনি। দেবী প্রলয় নৃত্য শুরু করে যুদ্ধে আহ্বান জানালেন। দেবীর রোষে ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হল দারুকাসুরের সেনাবাহিনী। রেহাই পেল না দারুকাসুরও। সেও প্রাণ হারাল দেবীর হাতে। কালীর নৃত্যে ব্রহ্মাণ্ড জুড়ে প্রলয় শুরু হল। দেবীর হুঙ্কারে চারদিক কাঁপতে শুরু করল। কিন্তু দেবীর ক্রোধ কিছুতেই শান্ত করা যাচ্ছিল না। এদিকে স্বর্গ মর্ত্য সব কাঁপতে শুরু করল।আবার দেবতারা মহাদেবের শরনাপন্ন হলেন।

মহাদেব তখন শিশুর রূপ ধরে দেবীর সামনে এসে কাঁদতে শুরু করেন। এতে দেবীর মনে মায়া হয়। তখন শিশুটিকে কোলে তুলে নিলেন তিনি। কিন্তু শিশুটি তাঁর কান্না বন্ধ করে নি। এরপর কালী স্তন্যপান করান শিশুটিকে। এদিকে স্তন্যপানের মাধ্যমে কালকূট বিষ পুনরায় নিজের শরীরে গ্রহণ করলেন মহাদেব। ধীরে ধীরে কালীর শরীর নীল বর্ণ থেকে বদলে গেল। এরপরেই কালীর ক্রোধ শান্ত হয়েছিল।

আরও পড়ুন :  আজও রাতের অন্ধকারে জেগে ওঠে শ্মশান, ঘোরাফেরা করে মৃতদের আত্মা




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

রাজার নির্দেশে চাঁচলের ৩৫০ বছরের রীতি মেনে কালী প্রতিমা কাঁধে নিয়ে দৌড় ভক্তদের

মা সেজেছেন দশ হাত-পায়ে, বসিরহাটেই এবার উজ্জয়ণের মহাকালেশ্বর মন্দির

মা কালীকে বিসর্জন দিতে গিয়ে কালীর কোলে বিলীন হয়েছিলেন রামপ্রসাদ 

৪০০ বছর আগে ডাকাতদের হাত ধরে শুরু হয়েছিল এই কালী পুজো

জানুন দক্ষিণেশ্বরে কালীপুজোর মহাভোগে কী থাকছে, রইল বিশেষ প্রণালী

ঘরে উপচে পড়বে ধন-সম্পদ, জেনে নিন দীপাবলিতে লক্ষীপুজোর সময়কাল এবং নিয়ম

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর