এই মুহূর্তে




রাতেই হয় পুজো থেকে বিসর্জন,এখানে সূর্যের মুখ দেখেন না মা কালী




নিজস্ব প্রতিনিধি : কালীপুজোর আর বেশিদিন বাকি নেই। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে প্রস্তুতির কাজ। কোথাও বা চলছে প্যান্ডেলের কাজ, কোথাও আবার আলোকসজ্জা।কালীপুজোর কথা উঠলেই উঠে আসে রায়গঞ্জের কালীবাড়ির পুজোর কথা।এখানে কোন মূর্তি নয় বরং পবিত্র বেদীকে কালীরূপে পুজো করা হয়। কিন্তু কালীপুজোর দিন দেবীনগরের এই মন্দির বিশেষ আয়োজন করা হয়ে থাকে। তবে সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হল এখানে সূর্যের মুখ দেখেন না দেবী কালী। তাই সূর্যাস্তের পর প্রতিমা তৈরি করে রাতেই শ্যামা মায়ের পুজো হয়। এমনকী রাতেই হয় বিসর্জন। জানেন কী এমন রহস্যের কারণ ?

দেবীনগর কালীবাড়ির মন্দিরের গঠনটা একটু অন্যরকম। মন্দিরে নেই কোনও ছাদ বা আচ্ছাদন।স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, মায়ের আদেশ মেনেই মন্দিরে কোনও ছাদ দেওয়া হয়নি। মন্দিরের চারদিক দেওয়াল দিয়ে ঘেরা রয়েছে বটে, তবে উপরে নেই কোনও আচ্ছাদন। স্থানীয়দের বিশ্বাস এই কালীবাড়িতে দেবী হলেন জাগ্রত।আসলে দেবীরূপেই বেদীকেই পুজো করা হয় এখানে। শুধু উত্তর দিনাজপুর নয়, কলকাতা সহ রাজ্যের অন্যান্য জেলা, এমনকী ভিনরাজ্য থেকে হাজার হাজার দর্শনার্থীর সমাগম হয় দীপাবলির রাতে।

তবে সূর্যাস্তের পর প্রতিমা তৈরি করে রাতেই শ্যামা মায়ের পুজো হয়। ভোরের আলো ফোটার আগে হয় বিসর্জন। প্রায় ৫০০ বছর ধরে এমনই রীতি মেনেই কালীপুজো হয়ে আসছে উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ শহরের দেবীনগর কালীবাড়ির মন্দিরে। লোকমুখে শোনা যায় এই কালীবাড়ির দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে।

আরও পড়ুন : ঘুঁটঘুঁটে অন্ধকারে কাঠের খাটে ঘুমিয়ে থাকেন দেবী, কালীপুজোয় নিজের চোখে দেখে আসুন শ্বেতকালীর পুজো

কথিত আছে, রায়গঞ্জ শহরের দক্ষিণ প্রান্তে দেবীনগরে রাজপথের ধারে গাছের তলায় থাকা এই কালীমন্দিরে একসময় ডাকাতদল মায়ের আরাধনা করত। দিনাজপুরের জমিদার তাঁর লোকজন নিয়ে এসে এখানে পুজো করে ফিরে যেতেন। একবার এই পথ দিয়ে ভূপালপুর রাজবাড়ি যাওয়ার পথে মন্দিরের সামনে আটকে পড়েন দিনাজপুরের তৎকালীন জমিদার। সেই সময় তিনি এখানে মন্দির তৈরি করে দেবীকে প্রতিষ্ঠা করার আদেশ পান, এমনটা জানিয়েছেন স্থানীয়রা। দেবীর আদেশ ছিল, মন্দিরে কোনও ছাদ থাকবে না। রোদ, ঝড়, জল-বৃষ্টিতে পুজিতা হবেন তিনি। তাই দেবীর নির্দেশে এভাবেই পুজিতা হন কালী।

আরও পড়ুন : ধর্মপ্রাণ মুসলিমকে স্বপ্নাদেশ, জানেন কী চরণপাহাড়ি কালী মন্দিরের অতীত

দেবীর নির্দেশ ছিল দীপাবলির অমাবস্যায় সূর্য অস্ত যাওয়ার পরে মায়ের মূর্তি তৈরি করা শুরু হবে। পরের দিন সূর্য উদয় হওয়ার আগেই মায়ের মূর্তি বিসর্জন দিয়ে দিতে হবে। এখনও এক বছরও এই নিয়মের অন্যথা হয়নি। বাকি সময় মা পুজিতা হবেন বেদীতেই। মায়ের স্বপ্নাদেশ পেয়ে দিনাজপুরের জমিদার রায়গঞ্জ শহরের দেবীনগরে রাজপথের ধারে তৈরি করে দেন ছাদ খোলা এই মন্দির। সেই থেকে আজও এই ছাদ খোলা মন্দিরের বেদীতে মা কালীর আরাধনা হয়।

স্থানীয়রা ও মন্দিরের পুরোহিত জানান,দীর্ঘ ৫০০ বছর ধরে পুজিতা হয়ে আসছেন দেবী কালী। বৈষ্নব মতে পুজিতা হয়ে আসছেন মা কালী। এখানে অন্নভোগ হয় না।মিষ্টান্ন ও ফলমূল নিবেদন করা হয়ে থাকে দেবীকে। এখানে দেবী মা খুব জাগ্রত। বহু দূর দুরান্ত থেকে ভক্তরা এখানে মাকে দেখতে আসেন।

আরও পড়ুন : দাঁত দিয়ে জিভ কামড়ে ধরে আছেন দেবী, জানেন কী কেন লোলজিহ্বা মা কালীর?




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

জানেন কীভাবে তৈরি করা হয় যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহৃত ড্রোনগুলি?

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে রাজি, দাবি ট্রাম্পের

দেশ রক্ষার চাইতে বড় কিছু নেই! বিয়ের পরদিনই নববধূকে ছেড়ে সীমান্তে রওনা জওয়ানের

বাবা ছিলেন লাদেন ঘনিষ্ঠ জঙ্গি নেতা, যুদ্ধের বাজারে পাকিস্তান সেনার মুখ ছেলে

সেনার মুখ কর্নেল সোফিয়া কুরেশির বোনের পরিচয় জানলে চমকে যাবেন

ট্যাবলেট ভেবে গিললেন ছিপি, ডাক্তারের হাতযশে বাঁচল বৃদ্ধার প্রাণ

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর