এই মুহূর্তে




দেশ রক্ষার চাইতে বড় কিছু নেই! বিয়ের পরদিনই নববধূকে ছেড়ে সীমান্তে রওনা জওয়ানের




নিজস্ব প্রতিনিধি: বিয়ের জন্যে ছুটিতে ছিলেন বিহারের বক্সার জেলার কেশব ব্লকের নন্দন গ্রামের বাসিন্দা ত্যাগী যাদব। গত ৭ মে প্রিয়া কুমারীকে বিয়ে করেন তিনি। কিন্তু বিয়ের পরের দিনই, অর্থাৎ ৮ মে, কর্তব্যে ফিরে যাওয়ার ডাক পড়ে তাঁর। কারণ এই মুহূর্তে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে। তাই সেনাবাহিনী সমস্ত সেনার ছুটি বাতিল করেছে। হ্যাঁ, ত্যাগীও ভারতীয় সেনাবাহিনীর একজন সেনা। সীমান্তের পরিস্থিতি এখনও সংবেদন শীল, তাই ত্যাগী যাদবের ছুটিও বাতিল করা হয়। এবং তাকে অবিলম্বে কাজে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। উচ্চমহলের ডাক শুনে আর দেরি করেননি তিনি। কারণ এই মুহূর্তে দেশ রক্ষার দায়িত্ব তাঁর কাঁধে, তাই নববিবাহিত স্ত্রীকে ছেড়েই সীমান্তের দিকে পাড়ি দিলেন তিনি। তাঁকে একটি সংবেদনশীল পদে নিয়োগ করা হয়েছে, যেখানে প্রতি মুহূর্তে সতর্কতা প্রয়োজন। তাই চোখের জলে নববধূ স্ত্রীকে ছেড়ে চলে গেলেন ত্যাগী।

এই ঘটনা আবারও মনে করিয়ে দিল বলিউডের আইকনিক ‘বর্ডার’ চলচ্চিত্রটির কথা। যেখানে একটি দৃশ্য ছিল, ভারতীয় সেনার ভূমিকায় থাকা সুনীল শেট্টি, বিয়ের ঠিক পরেরদিনই নববধূকে ফেলে দেশরক্ষায় চলে যাচ্ছেন। ফুলশয্যার পরেরদিনই তাঁর বাড়িতে ফোন আসে এবং তাঁর ডাক পড়ে। এবং সেনার পোশাক গায়ে চাপিয়ে স্ত্রীর চোখের জল মুছে কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা দিতে হয়। হয়তো তাঁর নববধূ স্ত্রী জানেও না, যে তাঁর স্বামী আদেউ ফিরে আসবে কিনা! তাই হয়েছিল, শত্রুর গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে কফিনবন্দি শহিদ হয়ে বাড়িতে ফেরেন সুনিল শেট্টি। কোনও বিবাহিত নারীর জীবনে এর থেকে বোধহয় খারাপ কিছুই নেই। হ্যাঁ, সেনাদের জার্নি এটাই। যাঁরা এক মিনিটের জন্যেও নিজের জীবনকে পরোয়া না করে দেশ রক্ষার্থে ঝাঁপিয়ে পড়েন। বর্তমানে পহেলগাঁও হামলা নিয়ে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধের প্রস্তুতি তুঙ্গে। সেই কারণেই ছুটি নেই কোনও সেনার।

দেশের প্রতিরক্ষা বাহিনীর সকল কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে। সে কারণেই যাঁরা যাঁরা ছুটিতে ছিলেন সবাই কর্মস্থলে ফেরৎ গিয়েছেন। দেশরক্ষায় এখন গোটা দেশবাসীর ভরসা তাঁরাই। এক্ষেত্রে ত্যাগী যাদব বলেছেন যে, তিনি বিশেষ করে বিয়ের জন্য ছুটি নিয়েছিলেন, কিন্তু এখন দেশের নিরাপত্তার দেওয়া বেশি গুরুত্বপূর্ণ। দেশের প্রতি কর্তব্য ব্যক্তিগত জীবনের চেয়েও বড়। তার এই সিদ্ধান্ত এখন পুরো গ্রামে আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। ত্যাগীর পরিবারও তার দেশপ্রেমে গর্বিত। তার বাবা-মা তাকে আশীর্বাদ করে বিদায় জানালেন। বর্তমানে ত্যাগীর চাচাতো ভাই ওমপ্রকাশ যাদব জম্মু ও কাশ্মীরের কুপওয়ারায় কর্মরত। মামা মঙ্গল যাদবও সেনাবাহিনীতে কর্মরত। তিন প্রজন্ম ধরে দেশের সেবায় নিয়োজিত এই পরিবার। আজ তাদের সমগ্র পরিবার গ্রামের গর্ব। ত্যাগী যাদবের এই কর্তব্যনিষ্ঠ সিদ্ধান্ত কেবল তার পরিবারের জন্যই নয়, সমগ্র দেশের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছে।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, ফোনে কথা বলার সময় বজ্রাঘাতে মৃত্যু যুবকের

ভারতে একাধিক হামলার মাস্টারমাইন্ড, পাকিস্তানে নিহত লস্কর সন্ত্রাসী

হায়দরাবাদ অগ্নিকাণ্ডের ভয়াবহতা, কোলের সন্তানকে জড়িয়ে ধরেই পুড়ে ছাই মা

প্রথমে দিয়েছিল ঋণ, এখন ১১টি শর্ত চাপিয়ে পাকিস্তানকে সতর্ক করল আইএমএফ

মৃত্যু যেন ওঁত পেতেছিল! খাটিয়ায় ঘুমন্ত যুবকের মাথায় কাল কেউটের ‘ছোবল’

জ্যোতি মালহোত্রা মামলায় নয়া মোড়, এবার আইবি’র নজরে জগন্নাথধামের ইউটিউবার

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ