নিজস্ব প্রতিনিধি: সারা দেশে কবির নামাঙ্কিত মেলা সম্ভবত এটিই। মেলা মানে ধর্মীয় মেলা। তা অবশ্য ধর্মের বেড়াজাল ছাড়িয়ে সাহিত্য- সনসংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করেছে। মকরসংক্রান্তির দিনে এখানে পূণ্যস্নান করতে ভিড় জমান অগণিত ভক্ত। আনুমানিক ৪০০ বছরেরও প্রাচীন এই মেলা। বীরভূম জেলার জয়দেব-কেন্দুলি (JOYDEB KENDULI) মেলা বাংলা ও বাঙালির ঐতিহ্য।
গীতগোবিন্দের রচয়িতা কবি জয়দেবের নামানুসারে এই মেলা। এখানেই জন্মস্থান কবির। লক্ষণসেনের সভাকবি ছিলেন জয়দেব। উল্লেখ্য, এই গ্রামেই রয়েছে লক্ষণসেন প্রতিষ্ঠিত নবরত্ন রাধাবিনোদ মন্দির। মন্দিরটি এএসআই দ্বারা সংরক্ষিত। সামনেই অজয় নদ।
এই অজয় নদেই মকরসংক্রান্তি’র দিনে ভিড় জমান ভক্তরা। বসে বাউলগান, কীর্তনের আসর। আসেন আউলবাউলরা। তাঁদের থাকে আলাদা আলাদা আখড়া। সেখানেই চলে গান, কীর্তন। খুব কম হলেও এখানে পূণ্যস্থানে আসেন নাগা সন্ন্যাসীরাও। নদীর তীরে দেবী কালিকার আরাধনা করেন বহু সাধক। হয় যজ্ঞ। শ্মশান চত্ত্বর ভরে ওঠে হোমের গন্ধ আর গানের সুরে। মিশে যান শাক্ত-বৈষ্ণব থেকে শুরু করে আপামর সাধক, ভক্ত ও দর্শনার্থী।