-273ºc,
Friday, 2nd June, 2023 8:36 pm
নিজস্ব প্রতিনিধি: এই গ্রামে আজও দুর্গাপুজো (DURGA PUJA) হয় প্রাচীন পুঁথি পড়েই। ছাপানো মন্ত্রের বই পাঠ করে পুজোর রেওয়াজ নেই এখানে। বছরের পর বছর ধরে এভাবেই হয়ে আসছে পুজো। বীরভূম জেলার এই গ্রামের নাম বেলেড়া। এই পুজোর প্রচলন হয়েছিল ১০০১ বঙ্গাব্দে। তবে গ্রামবাসীদের এক অন্য দাবিও আছে রাজ্য সরকারের কাছে।
বহু প্রাচীন সেই পুঁথি লেখা বাংলা হরফে। ভাষা অবশ্য সংস্কৃত। জানা গিয়েছে, আগে ছিল তালপাতার পুঁথি। পরে তা নকল করা হয়। আগের সেই পুঁথিও রয়েছে এখনও। রাজনগর ব্লকের ভবানীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে রয়েছে এই বেলেড়া গ্রাম। পুজো হয় বৈদিক মতে। কেন গ্রামের এই নাম? একসময় না কি এই গ্রামে প্রচুর বেল গাছ ছিল, তাই এমন নামকরণ হয়েছে। শিকদারদের এই পুজো হয় শরিকি ব্যবস্থায়।
জানা গিয়েছে, পুজোর প্রচলন করেছিলেন শ্রীধর বক্সী। তিনি স্বপ্নাদেশ পেয়েছিলেন দুর্গাপুজোর। এই শ্রীধর একসময় পেয়েছিলেন শালগ্রাম শিলা। তিনি তারই আরাধনা করতেন। তাই পুজোর দায়িত্ব দিয়েছিলেন মেজ ভাই কীর্তি শিকদারকে। তাঁরা ছিলেন মোট ৩ ভাই। সকলেরই আলাদা আলাদা পদবী ছিল। তবে পদবী আলাদা আলাদা কেন? পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বীর রাজার খাজনা আদায় করতেন বড় ভাই শ্রীধর। তাই তিনি উপাধি পেয়েছিলেন ‘বক্সী’। মেজ ভাই রাজবাড়ির সব কিছু দেখাশোনা করতেন। তাই তিনি ‘শিকদার’ উপাধি পেয়েছিলেন। ছোট ভাই বদন চন্দ্র চণ্ডী পাঠ করতেন বলে তিনি উপাধি পেয়েছিলেন ‘পাঠক’। এই সব উপাধি একসময় বসেছিল পদবীর জায়গায়। এঁদের আসল পদবী মুখোপাধ্যায়।
গ্রামবাসীদের তরফে দাবি উঠছে, প্রাচীন এই সমস্ত পুঁথি সংরক্ষণ করুক সরকার। ইতিমধ্যেই পুঁথিগুলি জরাজীর্ণ হয়ে গিয়েছে।