নিজস্ব প্রতিনিধি: জমিদার ‘রায় বাড়ি’ পরিচিত ‘জাড়া রাজবাড়ি’ নামেই। প্রাচীন এই পুজোর বয়স ২২৩ বছর। এই পুজোর প্রচলন করেছিলেন রাজা রাজীবলোচন রায়। বরেণ্য মনীষী থেকে মহানায়ক একসময়ে এসেছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনার এই বাড়িতে।
বর্ধমান থেকে রামগোপাল গাঙ্গুলী নামের এক ব্রাহ্মণ চন্দ্রকোনায় এসেছিলেন জমিদারি রক্ষার কাজে। এরপরে তিনি থেকে গিয়েছিলেন এখানেই। রাজার কাছ থেকে তিনি ‘রায় বাহাদুর’ উপাধি পেয়েছিলেন। তাঁর পুত্র রাজীবলোচন পেয়েছিলেন ‘রাজা’ উপাধি। তিনিই প্রচলন করেছিলেন দুর্গাপুজোর (DURGA PUJA)।
আগের সেই জমিদারত্ব নেই। ফলে কমেছে জৌলুস। এখন আর ন’দিন ধরে যাত্রা পালা হয় না। বসে না কবিগানের লড়াইয়ের আসর। তবু ইতিহাসের হাত ধরে টিকে আছে ঐতিহ্য। এই বাড়িতে একসময় পা রেখেছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর থেকে রাজা রামমোহন রায়। শ্যুটিং হয়েছিল ‘অ্যান্টনি ফিরিঙ্গির’। এসেছিলেন উত্তম কুমার। কথিত আছে, স্থানীয় ভোলা ময়রাকে দেখেই সিনেমার পর্দায় ফুটে উঠেছিল ‘ভোলা কবিয়াল’।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ঐতিহ্য বজায় রাখতে পুজোর সময় ষষ্ঠী থেকে বাজানো হয় সানাই। দেবীর আরাধনা হয় ‘বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত’ পঞ্জিকা মতে। প্রতি দেব-দেবী ও তাঁদের বাহনদের জন্য আলাদা আলাদা ভোগ রান্না করা হয়। প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় পরিবারের সদস্য- সদস্যারা গান গাইতে গাইতে শোভাযাত্রা করেন। তবে বলিদানের প্রথা নেই এখানে।
- নিসর্গ নির্যাস মাহাতো