নিজস্ব প্রতিনিধি: কাঁকসার পুজো মানেই সম্প্রীতি। হিন্দু ও মুসলিম মিলেই এখানে পুজোর (DURGA PUJA) আয়োজন করে। মূর্তির নয়, এখানে পুজো হয় দেবী’র ছবির। সেই ছবি আঁকেন জগন্নাথ মুখোপাধ্যায় ও মিদ্দা সৈয়দ আব্দুল রহিম প্রমুখ। শুনলে অবাক হবেন, জাঁকজমকপূর্ণ এই পুজো যে গ্রামে হয়, সেই গ্রামই বছরভর জনশূন্য থাকে।
জনসমাগম হয় শুধুমাত্র পুজোর চারদিন। জনশ্রুতি, ১১৮৯ সালে এখানে গড়ে উঠেছিল জনবসতি। ডাকাত, শত্রু বা ভয়ঙ্কর বন্য হিংস্র জন্তুর হাত থেকে রক্ষা পেতে গ্রামের চারপাশে কাটা হয়েছিল বিশাল পরিখা। তৈরি হয়েছিল দেবী দুর্গার মন্দির। একসময় এই মন্দিরে বজ্রপাত হয়, তারপর থেকে স্থানীয়রা মনে করেছিলেন, অশুভ ছায়া পড়েছে এই গ্রামে। স্থানীয়রা নিজেদের নিরাপদ রাখতে ওই গ্রাম ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন পার্শ্ববর্তী এলাকা লাউদোহর ও মলানদিঘিতে।
জনশ্রুতি, আজ থেকে প্রায় ৩০০ বছর আগে জনৈক গুরুচরণ রায় নামে একজন জনশূন্য ওই গ্রামের দুর্গামন্দিরে গিয়ে পুনরায় শুরু করেন পুজো। তারপর থেকে নিয়মিত আবার পুজো হয়ে আসছে বলেই জানা গিয়েছে। গত ২৫ বছর ধরে ঐতিহ্যবাহী এই পুজোর দায়িত্ব নিয়েছেন কিছু মানুষ। হিন্দু- মুসলিম মিলেই হয় আয়োজন। দেবী’র ছবি এঁকে করা হয় আরাধনা। পুজোর চারদিন থাকে ভুরিভোজের আয়োজন। পুজোর সমস্ত কাজের দায়িত্ব মিলেমিশে কাঁধে তুলে নেন সম্প্রীতি’র দূতরা।