রবিবার ফলহারিনী কালীপুজো। কালিকা নিয়ে একটি মুক্তগদ্য
কালীপুজো (KALI PUJA)। মণ্ডপে জেগে আছি নিশি গম্ভীরা সুরে। দুপুরেই শুরু হয়ে গ্যাছে যোগ তিথি। হুস করে জ্বলে ওঠে যজ্ঞকুণ্ড খানি। মন্ত্রের তালে ধিকি ধিকি নেচে ওঠে শিখা। চারিদিকে সোমরস আর মরদেহ। সাধক সাধিকা সব নেচে ওঠে মোক্ষের সুখে।
কালের ওপরে দণ্ডায়মান কালী। আলো-আঁধারিতে সম্ভ্রম জাগে। রাত্তির জুড়ে শুধু চেয়ে থাকা। চোখ দিয়ে ঝরে পড়ে জল। মন্ত্র বুঝি না, ধোঁয়া ঘসে যাওয়া চোখে।
ওদিকে গাঁজায় নিমগ্ন গম্ভীরা শিব। ঢুলু ঢুলু চোখে পরচুলা খুলে রাখে কালী। ক্লান্তিতে মুছে গ্যাছে তৃতীয় নয়ন। ঢুলে পড়ে বহুরূপী পতির গায়ে। ঠিক যেন বেদির প্রতিমা, নেমে এসেছেন মানুষের মাঝে।
দেবদেবী নেই। ঠিকই আছে তাঁরা, প্রতিটি দম্পতি দেহে। ক্লান্তির শেষে একে অপরের গায়ে ঢুলে পড়া যায়। দেহে-দেহে ঘষা লেগে জন্ম নেয় উত্তর। কাল জেগে ওঠে সুখের আমেজে।
আদপে কিস্যু নেই। রোজকার ঘটনাই হয়েছে ধরম। দর্শন রচনা করি মনের বিলাপে, সাধকের মতো চেয়ে থাকি নেশাতুর চোখে। পাশ দিয়ে চলে যায় হেলা সাপ। মন্ত্রোচ্চারণের মাঝে নীলকন্ঠ মনে হয় নিজেকে। কাঁধে হাত রাখে প্রেমিকা আমার। সাক্ষাৎ দেবী। স্তনে মুখ রেখে উপবাস ভাঙি। প্রেমিকা তারা-আমি সদাশিব।
লগ্ন শেষ। ভোর হয়ে গ্যাছে। অঘোর নিদ্রায় ডুবে গম্ভীরা দম্পতি।
– নিসর্গ নির্যাস মাহাতো
দশ মহাবিদ্যা