-273ºc,
Thursday, 1st June, 2023 11:36 pm
নিজস্ব প্রতিনিধি: শিবরাত্রির (SHIVA RATRI) আর বেশিদিন বাকি নেই। তবে জানেন কি কী ভাবে প্রচলন হয়েছিল শিবরাত্রি ব্রত? মহা শিবরাত্রি তিথির আগে জেনে নিন সেই কাহিনী। এই কাহিনীর সঙ্গে জড়িয়ে আছে শিব, যমরাজ এবং এক ব্যাধের কথা।
কাশীতে বাস করতেন এক ব্যাধ। এমনই একদিন শিকারে বেরিয়ে দিনভর অভুক্ত ছিলেন সেই ব্যাধ। ক্ষুধার্থ অবস্থায় তিনি ঘুমিয়ে পড়েছিলেন এক গাছের নিচে। এদিকে যখন তাঁর ঘুম ভাঙল তখন সন্ধ্যা। হিংস্র জন্তুতে ভর্তি সেই জঙ্গল। প্রাণ বাঁচাতে উঠে পড়লেন একটি বেল গাছে। সেখানেই রাত্রিযাপন করেছিলেন ওই শিকারী।
আরও পড়ুন: জানুন শিবরাত্রি আর মহা শিবরাত্রির পার্থক্য
এদিকে ওই বেলগাছের নিচেই ছিল একটি শিবলিঙ্গ। গাছে ব্যাধের নড়াচড়ার ফলে ওই গাছ থেকে বেশ কয়েকটি বেলপাতা পড়েছিল শিবলিঙ্গে। আর ব্যাধ ছিলেন উপবাসী। দিনটি ছিল শিবরাত্রির দিন। পরের দিনে ব্যাধ বাড়ি ফিরে খেতে বসলে তাঁর বাড়িতে আসেন এক অতিথি। এদিকে ঘরে খাবার কম। তাই অতিথি সেবা করতে নিজের খাবারই সেই অতিথিকে নিবেদন করেছিলেন শিকারী। ফলে নিজের অজান্তেই পালন করে ফেলেছিলেন ব্রত।
তারপর কেটে গিয়েছিল বহু বহু বছর। ব্যাধের মৃত্যুর সময় তাঁকে নিতে আসেন যমদূতেরা। এদিকে ব্যাধকে নিতে আসেন শিবদূতেরাও। দুই পক্ষের দূতদের মধ্যে বাধে যুদ্ধ। অবশেষে যমদূতরা কৈলাসে যান দেবাদিদেবকে নালিশ করতে। তখন শিবপ্রহরী নন্দী যমদূতদের বলেন, যেহেতু ব্যাধ শিবচতুর্দশীর দিনে ব্রত পালন করেছিলেন তাই পুণ্যলাভ করেছেন। এই কারণেই যমদূতরা তাঁকে নিয়ে যেতে পারেন না। সমস্ত ঘটনা যমদূতরা জানিয়েছিলেন যমরাজকে। সব শুনে যমরাজ বলেছিলেন, শিব চতুর্দশীতে এই ব্রত যিনি পালন করবেন তিনি সমস্ত পাপ থেকে রক্ষা পাবেন। আরও বলেছিলেন, সেই ব্রতপালনকারীর ওপরে থাকবে না যমের অধিকার।