নিজস্ব প্রতিনিধি: ক্রমশই অবসান ঘটছে উদ্বেগের। ফিরছে স্বস্তি। গত ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে করোনার সংক্রমণ সামান্য বাড়লেও শনাক্তের হার ও দৈনিক মৃত্যু কমেছে। মারণ ভাইরাসের ছোবলে একদিনে প্রাণ হারিয়েছেন ৩৩ জন। আর শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে চার দশমিক ০৯ শতাংশে। দৈনিক সংক্রমণে শীর্ষে কলকাতা আর দৈনিক মৃত্যুর নিরিখে শীর্ষে উত্তর ২৪ পরগনা।
সোমবারই ৩৩ দিন বাদে রাজ্যে করোনার দৈনিক সংক্রমণ সর্বনিম্ন ছিল। দু’হাজারের গণ্ডির নিচে নেমেছিল দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। ফলে অনেকটাই স্বস্তি ফেলেছিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা। মঙ্গলবারও সেই স্বস্তি বজায় রইল। এদিন সন্ধ্যায় রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে প্রকাশিত দৈনিক করোনা বুলেটিনে জানানো হয়েছে, ‘গত ২৪ ঘন্টায় আগের দিনের তুলনায় নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বেড়েছে। একদিনে নতুন করে আরও ৪৯ হাজার ৩০১টি নমুনা পরীক্ষা করা হলো। নয়া নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে চার দশমিক ০৯ শতাংশে। নতুন করে আরও ২ হাজার ১৪ জনের শরীরে মারণ ভাইরাসের নমুনা শনাক্ত হয়েছে। যার ফলে রাজ্যে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৯ লাখ ৯৭ হাজার ৫৩০ জনে। একই সময়ে মারণ ভাইরাসের ছোবলে মৃত্যু হয়েছে ৩৩ জনের। এ নিয়ে রাজ্যে করোনার বলি হলেন ২০ হাজার ৬৫২ জন।’
রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে শীর্ষে রয়েছে কলকাতা। মহানগরীতে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ২৬৫ জন। মারা গিয়েছেন ছয়জন। উত্তর ২৪ পরগনায় একদিনে মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে নয়জনের প্রাণ গিয়েছেন। আরও ২৩৪ জনের শরীরে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ১৩৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে তিন জনের। হুগলিতে ১৩৮ জন নতুনভাবে সংক্রমিত হয়েছেন। ওই জেলায় মারা গিয়েছেন দু’জন। হাওড়ায় দৈনিক সংক্রমণ শ’য়ের গণ্ডির নিচে থাকলেও জেলায় একদিনে প্রাণ হারিয়েছেন চারজন।
গত কয়েকদিনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে গত ২৪ ঘন্টায় দৈনিক আক্রান্তের চেয়ে দৈনিক সুস্থতার হার অনেকটা বেশি। স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, ‘মারণ ভাইরাসকে হারিয়ে নতুন করে সুস্থ হয়ে উঠেছেন পাঁচ হাজার ৫৪৮ জন। এ নিয়ে রাজ্যে করোনাকে হারিয়ে এখনও পর্যন্ত সুস্থ হলেন ১৯ লাখ ৫৪ হাজার ৭৩৬ জন। সুস্থতার হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৭ দশমিক ৮৬ শতাংশে। একদিনে অ্যাকটিভ কেস কমেছে তিন হাজার ৫৬৭টি। যার ফলে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ২২ হাজার ১৪২ জনে।’