নিজস্ব প্রতিনিধি: চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের পাখির চোখ তারকারা। কেননা লোকসভা নির্বাচনের আগে বহু তারকা রাজনীতিতে যোগ দিয়েছেন। দেশের শাসক-বিরোধী দলগুলির প্রার্থী হয়েছেন। আর ভোট পাওয়ার লোভে তারকাদেরই যে মোক্ষম অস্ত্র করেছে রাজনৈতিক দলগুলি, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। যাই হোক, আজ লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার ভোট। গোটা দেশের ১৩ টি রাজ্যে ভোট চলেছে। যার মধ্যে আছে, উত্তরপ্রদেশ, মথুরা, কর্ণাটক, রাজস্থান, বেঙ্গালুরু, বিহার, ভাগলপুর, পশ্চিমবঙ্গ ইত্যাদি জায়গায় সকাল থেকেই শুরু হয়েছে ভোট। তারকারাও যে যার কেন্দ্র অনুযায়ী ভোট দিচ্ছেন। ব্যস্ততার মাঝেও গণতান্ত্রিক অধিকারে পা মিলিয়েছেন তাঁরা।
লোকসভা নির্বাচনের আবহে গুজব উঠেছিল যে, বিহারের ভাগলপুর থেকে কংগ্রেসের হয়ে লড়বেন বলিউড অভিনেত্রী নেহা শর্মা। কিন্তু পরে বিষয়টি মিথ্যা প্রমাণিত হয়। কারণ তাঁর বাবা অজিত শর্মা একজন দাপুটে কংগ্রেস নেতা। মেয়ে হিসেবে বাবার হয়েই প্রচার সেরেছেন নেহা শর্মা। কোনও রাজনৈতিক দলে যোগ দেননি তিনি। অজিত শর্মা তার মেয়ের সম্ভাব্য নির্বাচনী আত্মপ্রকাশকে ঘিরে সমস্ত গুজবের অবসান ঘটিয়ে বলেছিলেন যে, তিনি তার শুটিং প্রতিশ্রুতি নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। এখন এমন কোনও চিন্তাভাবনা নেই। তবে বৃহস্পতিবার বিহারের ভাগলপুর জেলায় তার বাবা অজিত শর্মার সমর্থনে একটি বিশাল রোড শো করেছেন নেহা। এমনকি এদিন মহাজোট প্রার্থী অজিত শর্মা, তার স্ত্রী বিভা শর্মার সঙ্গে ভাগলপুরের কৃষি বিভাগে ভোট দিলেন বলিউড অভিনেত্রী নেহা শর্মা। ভোট দেওয়ার পরে, অভিনেত্রী এবং কংগ্রেস প্রার্থী অজিত শর্মার মেয়ে নেহা শর্মা বলেন যে, ‘আমি সবাইকে ভোট দেওয়ার জন্য আবেদন করব।
ভাগলপুরের মানুষ এখানে জিতবে।’ একই সময়ে, কংগ্রেস প্রার্থী অজিত শর্মা বলেছেন যে, ভোটারদের কাছে তাদের ভোটের মূল্য বুঝতে এবং ভোট দেওয়ার জন্য আবেদন রয়েছে।’ প্রসঙ্গত, ভাগলপুর লোকসভা আসনের জন্য মোট ১২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এই আসনে জেডিইউ তাঁর বর্তমান সাংসদ অজয় মণ্ডলকে প্রার্থী করেছে, অন্যদিকে কংগ্রেস অজিত শর্মা কে আবারও সুযোগ দিয়েছে। এছাড়াও প্রার্থী ছোট লাল কুমার, মুকেশ কুমার, দীপক কুমার সিং, উমেশ প্রসাদ যাদব, দীপক কুমার, হরেরাম যাদব, ওমপ্রকাশ পোদ্দার, পুনম সিং, দয়ারাম মন্ডল এবং রমেশ টুডু স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। কিন্তু সংঘর্ষ হবে অজয় মণ্ডল ও অজিত শর্মার মধ্যে। এদিকে গত বৃহস্পতিবার নেহা শর্মা এবং তাঁর বাবা একটি থারে চড়ে বিহারের সোনাবর্ষ থেকে নওগাছিয়া পর্যন্ত প্রচারণা চালিয়েছিলেন। রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা লোকেদের হাত নেড়ে অভিবাদন ও জানিয়েছেন অভিনেত্রী।