নিজস্ব প্রতিনিধি: সামান্য হলেও মিলল স্বস্তি। গত ২৪ ঘন্টায় আগের দিনের তুলনায় রাজ্যে নিম্নমুখী করোনার সংক্রমণ। একদিনে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২২ হাজার ৬৪৫ জন। দৈনিক সংক্রমণের পাশাপাশি শনাক্তের হার-ও হ্রাস পেয়েছে। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ৩১ দশমিক ১৪ শতাংশে। তবে দৈনিক মৃত্যু আগের দিনের চেয়ে সামান্য বেড়েছে। মারণ ভাইরাসের ছোবলে প্রাণ হারিয়েছেন ২৮ জন। দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে যথারীতি শীর্ষে রয়েছে। দৈনিক মৃত্যুর নিরিখে শীর্ষে উত্তর ২৪ পরগনা।
গত কয়েকদিন ধরেই রাজ্যে তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ চালু হয়েছে। গত রবিবার দৈনিক সংক্রমণ সর্বকালীন রেকর্ড গড়েছিল। একদিনে আক্রান্ত হয়েছিলেন ২৪ হাজার ২৮৭ জন। সোমবার থেকে অবশ্য পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হয়েছে। যদিও তাতে উদ্বেগ কাটছে না।
শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে প্রকাশিত দৈনিক বুলেটিনে জানানো হয়েছে, ‘গত ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে নতুন করে আরও ৭২ হাজার ৭২৫টি নমুমা পরীক্ষা করা হয়েছে। নয়া নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ৩১ দশমিক ১৪ শতাংশে। যার ফলে নতুন করে আরও ২২ হাজার ৬৪৫ জনের শরীরে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে রাজ্যে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৮ লাখ ৬৩ হাজার ৬৯৭ জনে। দৈনিক সংক্রমণ আগের দিনের তুলনায় কমলেও দৈনিক মৃত্যু বেড়েছে। মারণ ভাইরাসের ছোবলে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন আরও ২৮ জন। এ নিয়ে রাজ্যে করোনার বলি হলেন ২০ হাজার ১৩ জন।’
দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে যথারীতি শীর্ষে রয়েছে কলকাতা। মহানগরীতে অবশ্য আগের দিনের চেয়ে সংক্রমণ বেড়েছে। নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৮৬৭ জন। আর মারণ ভাইরাসের ছোবলে প্রাণ হারিয়েছেন সাত জন। কলকাতার লাগোয়া উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় নতুন করে আরও চার হাজার ১৮ জনের শরীরে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। তবে মৃত্যুর নিরিখে শীর্ষে রয়েছে জেলা। একদিনে মারা গিয়েছেন আট জন। হাওড়ায় ১,২২৩ জনের শরীরে সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। হুগলি ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন যথাক্রমে এক হাজার ৩৯৪ ও এক হাজার ৫৩৩ জন।
রাজ্যে করোনায় আক্রান্তের পাশাপাশি লাফিয়ে বাড়ছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও। স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, ‘গত ২৪ ঘন্টায় মারণ ভাইরাসকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন আট হাজার ৭৮৭ জন। এ নিয়ে রাজ্যে করোনাকে জয় করলেন ১৬ লাখ ৯৮ হাজার ২০১ জন। সুস্থতার হার কমে দাঁড়িয়েছে ৯১ দশমিক ১২ শতাংশে। একদিনে অ্যাকটিভ কেস বেড়েছে ১৩ হাজার ৯৩০ জন। যার ফলে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক লক্ষ ৪৫ হাজার ৪৮৩ জনে।’