নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে কিছুতেই উদ্বেগ যাচ্ছে না। গত ২৪ ঘন্টায় ফের মারণ ভাইরাসের দৈনিক সংক্রমণের রেখচিত্র ঊর্ধ্বমুখী। তবে সামান্য স্বস্তি মিলেছে দৈনিক মৃত্যুর হার হ্রাস পাওয়ার ঘটনায়। সেই সঙ্গে নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হারও কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে করোনাভাইরাসে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৮৪৬ জন। আর প্রাণ হারিয়েছেন ১২ জন। শনাক্তের হার আগের দিনের তুলনায় কমে দাঁড়িয়েছে দুই দশমিক ১০ শতাংশে।
পুজোর আগে থেকেই রাজ্যে নতুন করে চোখ রাঙাচ্ছে প্রাণঘাতী ভাইরাসের সংক্রমণ। অনেকেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, পুজোয় যেভাবে স্বাস্থ্যবিধিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে হুল্লোড় আর উৎসবে মেতে উঠেছিলেন রাজ্যবাসী, তাতে করোনা সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে। যদিও এখনও পর্যন্ত তেমনটি ঘটেনি। দুর্গাপুজো মিটতে না মিটতেই দৈনিক সংক্রমণ আটশোর গণ্ডি পেরিয়ে গিয়েছে। তবে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বেড়ে চলার কারণেই সংক্রমিতের সংখ্যা বাড়ছে বলে দাবি করেছেন রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা।
শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে প্রকাশিত করোনা বুলেটিনে জানানো হয়েছে, ‘গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আরও ৪০ হাজার ৩০৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ নিয়ে রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ১ কোটি ৮৮ লক্ষ ৪২ হাজার ৪০৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হল। নয়া নমুনা পরীক্ষায় ৮৪৬ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে রাজ্যে করোনায় মোট আক্রান্ত হলেন ১৫ লক্ষ ৮৪ হাজার ৪৯২ জন। নতুন করে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন ১২ জন। এ নিয়ে রাজ্যে করোনার বলি হলেন ১৯ হাজার ৩৩ জন।’
স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, ‘গত ২৪ ঘন্টায় মারণ ভাইরাসকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৭৯২ জন। যার ফলে রাজ্যে করোনা জয়ীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৫ লক্ষ ৫৭ হাজার ৮৮২ জনে। সুস্থতার হার ৯৮ দশমিক ৩২ শতাংশ। রাজ্যে ক্রমশই বাড়ছে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা। একদিনে অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা বেড়েছে ৪২টি। সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৫৭৭ জনে।’