আন্তর্জাতিক ডেস্ক: জাপান-সহ একাধিক দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ফের ঊর্ধ্বমুখী। আর সংক্রমণের ওই ঊর্ধ্বমুখী রেখচিত্রকে হাতিয়ার করে গোটা বিশ্বাবাসীকেই সতর্ক করে দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। প্রতিদিনই নিয়ম করে উদ্বেগ প্রকাশ করে চলেছেন সংস্থার শীর্ষ আধিকারিকরা। আর বিশ্বের স্বাস্থ্য বিষয়ক শীর্ষ সংস্থার এমন ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে, করোনার টিকা উৎপাদককারী সংস্থাগুলির ব্যবসায়িক স্বার্থের কথা ভেবেই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে ভুয়ো আতঙ্ক ছড়াচ্ছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রোস অ্যাডানাম গেব্রিয়েসাস, মাইকেল রায়ানরা। দুজনের বিরুদ্ধে আর্থিক সুবিধা নিয়ে বিশ্ববাসীকে বিভ্রান্ত করার মারাত্মক অভিযোগ উঠেছে। যদিও এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া জানাতে রাজিও হননি করোনা নিয়ে ভুয়ো আতঙ্ক ছড়ানোর দুই মূল পাণ্ডা।
শীতের মরসুম শুরু হতে না হতেই জাপান সহ একাধিক দেশে করোনার সংক্রমণ সামান্য বেড়েছে। আর সেই পরিসংখ্যানকে হাতিয়ার করেই কোমর কষে আসরে ঝাঁপিয়েছেন মুনাফাখোর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আধিকারিকরা। অথচ বাস্তব চিত্র বলছে গত দুদিনে বিশ্বে করোনার সংক্রমণ নিম্নমুখী। বৃহস্পতিবার যেখানে বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন ৫ লক্ষ ৭৮ হাজার ৭২০ জন। সেখানে শুক্রবার আক্রান্ত হয়েছেন ৫ লক্ষ ৩২ হাজার ৮১ জন। শনিবার সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন তিন লক্ষ ৮২৩ জন। বৃহস্পতিবার যেখানে প্রাণ হারিয়েছিলেন এক হাজার ৯২৮ জন, সেখানে শুক্রবার প্রাণ হারিয়েছেন এক হাজার ৫৩৪ জন। আর শনিবার সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত নতুন করে প্রাণ হারিয়েছেন ৬২০ জন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার শীর্ষ আধিকারিকরা তাহলে কেন গেল-গেল রব তুলছেন? সূত্রের খবর, করোনার টিকা উৎপাদনকারী সংস্থাগুলি ব্যবসার স্বার্থে আগাম টিকা তৈরি করে মজুত করে রেখেছিলেন। কিন্তু টিকার তৃতীয় অর্থাৎ বুস্টার ডোজ নিতে গোটা বিশ্বজুড়েই সাধারণ মানুষের অনীহা লক্ষ্য করা গিয়েছে। ফলে বিপুল পরিমাণ মুনাফা লোটার চক্রান্ত ব্যর্থ হয়েছে। অধিকাংশ ভ্যাকসিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার মুখে। এর ফলে টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থাকে বিপুল ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। তাই সাধারণ মানুষকে টিকা নিতে বাধ্য করার উদ্দেশেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ভুয়ো আতঙ্ক ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
