নিজস্ব প্রতিনিধি, কোটা: প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে আসা পড়ুয়াদের আত্মহত্যার মিছিল অব্যাহত। গতকাল মঙ্গলবার কোটায় ১৬ বছর বয়সী আরও এক নিট পরীক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। আত্মঘাতী কিশোরী ঝাড়খণ্ডের রাঁচির বাসিন্দা। কয়েক মাস আগেই কোটায় এসেছিল। শহরের একটি হস্টেলে থাকত। হস্টেলের রুমে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে। পুলিশ আত্মঘাতী পড়ুয়ার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরে কোটায় পড়তে এসে উচ্চাশার বলি হল ২৫ পড়ুয়া।
প্রতি বছরই রাজস্থানের কোটার কোচিং সেন্টারগুলিতে উচ্চ শিক্ষা ও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে কয়েক হাজার পরীক্ষার্থী ভর্তি হন। কিন্তু অনেকেই চাপ না নিতে পেরে অকালে আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন। অভিযোগ উঠেছে, কোচিং সেন্টারের কর্তৃপক্ষ এবং শিক্ষকরা পড়ুয়াদের উপরে প্রচণ্ড মানসিক চাপ তৈরি করছেন। সেই চাপ না নিতে পেরেই অনেকেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হচ্ছেন।
গত ২৮ অগস্ট একই দিনে কোটায় জোড়া আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছিল। এক পড়ুয়া কোচিং সেন্টারের ছয় তলা থেকে ঝাঁপিয়ে আত্মহত্যা করেন। অন্য পড়ুয়া ভাড়া বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হন। দুই পড়ুয়ার আত্মহত্যার ঘটনার পরেই কোচিং সেন্টারগুলিকে আগামী একমাস টেস্ট পরীক্ষা না নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন কোটার জেলাশাসক ও পি বানকার। করোনা অতিমারী শুরু হওয়ার আগে ২০১৮ সালে ১২ পড়ুয়া আত্মঘাতী হয়েছিল। গত বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে কোটায় ডাক্তার ও ইঞ্জিনিয়ার স্বপ্ন নিয়ে পড়তে আসা ১৫ জন ছাত্র আত্মহত্যার পথে বেছে নিয়েছিল। চলতি বছরের প্রথম আট মাসেই ২৩ জনের প্রাণ গেল। অর্থাৎ আত্মহত্যার সংখ্যা ৬০ শতাংশ বেড়েছে। কোটায় যেভাবে পড়ুয়াদের আত্মঘাতী হওয়ার প্রবণতা বাড়ছে তাতে উদ্বিগ্ন প্রশাসন।