নিজস্ব প্রতিনিধি, লখনউ: কলকাতার রবিনসন স্ট্রিটের ছায়া সুদূর কানপুরে।
মৃতকে তাঁর পরিবার গত ১৮ মাস ধরে আগলে রেখেছে। বিষয়টি নজরে আসে শুক্রবার। পুলিশের সঙ্গে আয়কর দফতর যোগাযোগ করে জানায়, গত এক বছর ধরে অফিসে আসছেন না বিমলেশ কুমার। তারা বিমলেশ কুমারের বাড়ির ঠিকানা পুলিশকে দিয়ে তাঁর ব্যাপারে খোঁজখবর নিতে বলে। পুলিশ রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করে। স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের একটি দল বিমলেশ কুমারের বাড়ি পৌঁছয়। বাড়ির সদস্যরা জানান, যার খোঁজে তারা এসেছেন, সেই বিমলেশ কুমার করোনা আক্রান্ত হন। চিকিৎসকেরা তাঁকে সুস্থ করে তোলার চেষ্টা চালান। যদিও সেই চেষ্টা সফল হয়নি। তিনি ‘কোমায়’ চলে গিয়েছেন। তবে সুস্থ হয়ে উঠবেন। সেই চেষ্টা চলছে।
পরিবার সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, গত বছর এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে বিমলেশবাবু করোনায় আক্রান্ত হন। ২১ এপ্রিল তাঁর মৃত্যু হয়। পরিবার চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করলে চিকিৎসক ডেথ সার্টিফিকেট লিখে দেয়। যদিও পরিবার দেহ সৎকার করতে অস্বীকার করে। তারা নিশ্চিত ছিল, বিমলেশ কুমার জেগে উঠবেন।
কয়েকজন এলাকাবাসী জানিয়েছেন, পরিবারের সঙ্গে বিমলেশবাবুর বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে তাদের বলা হয় সে কোমায় চলে গিয়েছে। চিকিৎসকের পরামর্শে দেওয়া হচ্ছে অক্সিজেন। এলাকাবাসী দেখেছেন বিমলেশবাবুর স্ত্রী প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেহের পাশে গঙ্গাজল ছেটান। প্রাথমিকভাবে পুলিশ মনে করছে, স্ত্রী মানসিক ভারসাম্যহীন। পুলিশ দেহ সরিয়ে ফেলতে পদক্ষেপ করেছে। মনোবিজ্ঞানীদের মতে, দীর্ঘদিনের জীবনসঙ্গীকে মৃত্যুর পরেও বিদায় দিতে অনেকেই কষ্ট পান। এই ঘটনা থেকে সেটাই আরও একবার প্রমাণিত হল।